নান্দাইল ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ নান্দাইলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পূর্ব নাম “একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পের মাঠ সহকারী শাখায় ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়নে কর্মরত মোঃ শফিকুল ইসলাম জুটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মোঃ মহিউদ্দিন সদস্য কোড নং-৩০ প্রায় দেড় বৎসর পূর্বে নান্দাইল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কার্যালয় হতে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ঋণ গ্রহণ করে।
তারপর অদ্যবধি পর্যন্ত প্রতিমাসের কিস্তিহারে সকল টাকা পরিশোধ করে। গত কিছু দিন পূর্বে সমিতির দ্বায়িত্বরত মাঠ সহকারী মোঃ শফিকুল ইসলাম জোটনের কাছে ঋণ প্রস্তাব করে এবং উক্ত মাঠ সহকারী বিভিন্ন তালবাহানা দিয়ে বিগত দুইমাস যাবৎ ঋণ দিবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছিলো।
তার কথা ও কার্যক্রমে সন্দেহ হয়। পরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কার্যালয়ে গিয়ে নিজ বানাইল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির অনলাইন চেক দিয়ে দেখা যায় কোন কিস্তির টাকা অনলাইনে পরিশোধ হয়নি।
আরেক অভিযোগকারী আব্দুল কাদির জানান, মাঠ কর্মী শফিকুল ইসলাম জুটন আমি এবং আমার মায়ের সাথে প্রতারনা করেছে৷ ঋণের টাকা সময় মত পরিশোধ করলেও অনলাইনে ২-৩ মাস পরে জমা দেয়। শুধু আমি নয় অনেক মানুষের সাথে এমন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ,একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে শফিকুল ইসলাম জুটন দীর্ঘদিন যাবত মাঠকর্মী হিসাবে নান্দাইলে কমরত।
ক্ষমতাসীন দলের লোকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে প্রশাসনের চোখ পাকি দিয়ে করে যাচ্ছে একাধিক জালিয়াতি ও দুর্নীতি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
এধরণের জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ জুটনের বিরুদ্ধে প্রায়ই শুনা যায় শাখা ব্যবস্থাপক এর কাছে আসলে তা আমলে না নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নান্দাইল ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়নে সদস্যরা।
তাই উক্ত মাঠ সহকারী জুটনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদন্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে নান্দাইল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আজিজা আক্তার ঝুমা বলেন, আমি গ্রাহকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি।
ইতিমধ্যে জুটনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
আরও পড়ুন ছদ্মবেশে টিকিট কালোবাজারি ধরলেন দেওয়ানগঞ্জের ইউএনও
Leave a Reply