1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. aminulbahar3331@gmail.com : Md. Aminul Islam : Md. Aminul Islam
  4. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  5. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  6. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  7. r01944785689@gmail.com : Rashadul Islam Rony : Rashadul Islam Rony
  8. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কামালপুর মুক্ত দিবস কালিহাতী উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের অনুমোদিত নতুন কমিটি ও আইডি কার্ড হস্তান্তর জয়পুরহাটের কালাইয়ে তারেক রহমান প্রস্তাবিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে প্রথম স্থান অর্জন করেন নালিতাবাড়ী উপজেলা সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে অপপ্রচারে তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ নড়াইলে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ! ঘুষ না দেওয়ায় ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি শেরপুর সীমান্তে হাতিও অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাদ্য উপযোগী গাছের চারা রোপনের উদ্বোধন  শ্রীবরদীতে গুরুতর অসুস্থ যুবদল নেতা হারুনের পাশে সাবেক এমপি রুবেল  শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত যশোরে ডিবির অভিযানে ৩ অস্ত্রসহ আটক ২ লাকসামে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদের পানি কমারপর এখন যেন মরণ ফাঁদ!

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪
  • ৯১ বার পঠিত

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুর।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীতে শহর রক্ষার বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় এই নদী এখন জনগণের কাছে আর্শিবাদ না হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

একদিকে নদীটি খনন না করায় হারিয়েছে তার নাব্যতা। অপরদিকে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে অবৈধভাবে বসতবাড়ী নির্মাণ করায় খরস্রোতা নদীটি একটি খালে পরিণত হয়েছে। যে কারণে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে অবিরাম বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হয়।

এতে উপজেলা শহরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে ঢলের পানি উপজেলার সদর বাজার,অফিস -আদালত সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহারশি নদী।

কালের বির্বতনে খরস্রোতা নদীটি খনন না করায় হারিয়েছে তার নাব্যতা। অপরদিকে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে অবৈধভাবে বসতবাড়ী নির্মাণ করায় দিনে দিনে নদীটি সংকুচিত হয়ে খালে পরিণত হয়েছে।

এতে বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যে কারণে দু’পাড়ের কাঁচা বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে
উপজেলার বিভিন্ন অফিস,কোটি টাকা রাজস্ব্য আদায়ের সদর বাজার, নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের শত শত বাড়িঘর সহ হাজার হাজার একর ফসলী জমিতে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় এতে বিপাকে পরে মানুষ।

ক্ষয়-ক্ষতি হয় লক্ষ লক্ষ টাকা সহ রাস্তা ঘাটের।শুধু তাই নয়, বেড়িবাঁধ না থাকায় হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রাম। যে কোন সময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে রামেরকুড়া পুর্বপাড়া ও দিঘীরপাড় ফাযিল মাদরাসা সহ কয়েকটি গ্রাম। প্রতিবছর ঢলে ক্ষতিগ্রস্তের পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সাময়িক নড়েচড়ে বসলেও পরে আর খবর রাখেনা কেউ।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই নদীতে বেড়িবাঁধের মাপযোগ করেই কাটিয়ে দিয়েছে প্রায় দুই যুগ। ফলে বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝিনাইগাতীর মহারশি নদী এখন স্থানীয় জনগণের কাছে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।এ বছরেই পাহাড়ি ঢল হয়েছে তিনবার।

এরমধ্যে তৃতীয় ঢলে রামেরকুড়া পূর্বপাড়া, খৈলকুড়া, দিঘীরপাড় গ্রাম সহ ৪ টি জায়গায় ভেঙ্গে যায়। এতে দিঘীরপাড় গ্রামে তিনটি বাড়ীঘর ঢলের পানিতে দুমড়ে মোচড়ে ভেঙ্গে গিয়ে সেখানে গভীর খাদে পরিণত হয়েছে।

সেখানে আরো কয়েকটি বাড়ীঘর ব্যাপক হুমকির মুখে রয়েছে। পাহাড়ি ঢল আসা মানেই নদীর পাড়ে বসবাসকারি পরিবারগুলো আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ বলেন,আশ্বাসে নয় বিশ্বাসে এগিয়ে যেতে চাই, আর কত প্রতিশ্রুতিতে কেটে গেছে প্রায় দুই যুগ।এখন আর আশ্বাস নয়,আমরা চাই বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাস্তবায়ন। এর জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্যকে নদী খনন সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনুরোধ করছি।

ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন,প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদীর পাড় ভেঙ্গে উপজেলার সদর সহ বিভিন্ন এলাকার বাড়ীঘর,ফসলী জমি, মাছের পুকুর সহ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ঝিনাইগাতীতে প্রতিবছর এই ক্ষতি থেকে বাঁচাতে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম,পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে ইউনিয়নবাসীদের পক্ষ থেকে তিনি মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধের নির্মাণের অনুরোধ করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা জানান,উপজেলাবাসীদের রক্ষায় এই নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি পরিবারের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা আর ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন দেয়া হয়েছে।

নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্যে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান জানান,ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গনগুলোতে ইতিমধ্যেই জিও ব্যাগ দ্বারা আপদকালীণ কাজ করা হচ্ছে।পাকা বাঁধ নির্মাণের জন্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।

অনুমোদন পেলেই দ্রুত নির্মাণ করা হবে মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ।শেরপুর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম জানান,মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্যে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করেছি।

আশা করি এই অর্থ বছরেই নির্মাণ করা হবে বেড়িবাঁধ।শুধু আশ্বাস নয়, মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিবে সরকার,এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন শেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের কর্মী সমাবেশ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park