সৈয়দপুরে রেল কোয়াটার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার
- আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
- ৫৯ বার পঠিত
মো:জাকির হোসেন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের কোয়াটার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক মধ্য বয়সী মহিলার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের মুন্সিপাড়া রেলওয়ে কলোনীর দর্জিপট্টি রোডে এ ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ তালা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করে।
জানা যায়, ওই রেলওয়ের কোয়াটার দখল করে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছে নীলফামারী সদর উপজেলার পূর্ব চাপড়া এলাকার মৃত জামালের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৮)। সে পেশায় একজন চটপটি বিক্রেতা। শহরের কিছুক্ষণ মোড় ও রেল লাইনের পাড়ে অস্থায়ী দোকান করে এই ব্যবসা করে। তার স্ত্রী ও ছেলে চট্টগ্রামে থাকে।
মঙ্গলবার সকল ১১ টার দিকে জাহিদুলের স্ত্রী রোকসানা মোবাইল করে পাশের কোয়ার্টারের বাসিন্দা সেলিনাকে বলেন, আমাদের বাসায় একজন মহিলার লাশ রাখা আছে। পারলে কাফন দাফনের ব্যবস্থা করেন। মহিলার পুরো পরিচয় আমরা জানিনা। আমার স্বামী ভয় পেয়ে চট্টগ্রামে চলে এসেছে। এরপর থেকে জাহিদুল ও তার স্ত্রীর মোবাইল বন্ধ।
সেলিনা বলেন, এরপর আমি বিষয়টা এলাকার ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম কে জানাই। পরে তিনিসহ এলাকাবাসী মিলে এসে দেখি কোয়ার্টারের গেটে তালা দেয়া। পিছনে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে খুব দূর্গন্ধ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় আতিকুল ভাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ঢুকে দেখি মেঝেতে অর্ধ গলিত লাশ পড়ে আছে।
পুলিশ সুরতহাল তদন্তকালে সেলিনাকে মোবাইল করে জাহিদুল ইসলাম জানায়, মহিলার নাম আলমা (৩৫-৪০)। বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে। এর বেশি কিছু জানিনা। গত কয়েকদিন থেকে সে নিয়মিত রেল লাইনের পাড়ে আমার দোকানে আসে এবং রাত পর্যন্ত অবস্থান করে। শনিবার রাতে আমি দোকান বন্ধ করে বাসায় আসলে সে আমার পিছু নেয় এবং জোর করেই ঘরে ঢুকে।
বাধ্য হয়ে তাকে রাতে বাসায় থাকতে দেই। রাত ২ টার দিকে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এতে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। সকাল পর্যন্ত কোন কিছু ভেবে না পেয়ে লাশ রেখে পালিয়েছি। আমি হত্যা করিনি। লাশের পোস্ট মর্টেম করে দেখতে পারেন। তখন দোষী সাব্যস্ত হলে আমি মাথা পেতে নিবো। এই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং বন্ধ করে দেয়।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে এটা হত্যা-আত্মহত্যা বা স্বাভাবিক মৃত্যু কিনা। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিহতের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply