তামিম আহমেদ, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ “ছবি তুল্লে কী অইবো? বৃষ্টি আইলেই তো ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। কত কষ্টে আছি, কেউ দেখে না!”—হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এমন কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের জয়নুদ্দিনপাড়া গ্রামের বিধবা আবেদা খাতুন।
অশ্রুসজল চোখে একখানা মাথা গোঁজার ঠাঁই চেয়ে তিনি আরও বলেন, একটা ঘর পাইলেই শেষ বয়সটা কয়ডা দিন শান্তিতে থাকতাম, মরার আগে শান্তি পাইতাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে একসময় ছিল আবেদার সংসার। সকলকেই বিয়ে দিয়েছেন তিনি। একমাত্র ছেলের সংসার চলছে চরম সংকটের মধ্যে—স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে তার জীবনও টানাপোড়েনে। ছেলে মাটি কাটার কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। বৃদ্ধা মায়ের জন্য ভাতের খরচ জোগালেও ঘর করে দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই।
গত বুধবার সরেজমিনে আবেদার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটুকরো কম্বলে মোড়ানো ভাঙাচোরা ঝুপড়িঘর, যেখানে বসবাস করছেন এই বৃদ্ধা। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের ভিতর পানি জমে কাঁদা হয়ে যায়। আর অতিবৃষ্টি হলে সেখানে থাকা যায় না মোটেও।
স্থানীয়রা জানান, আবেদা খাতুন একজন সত্যিকারের অসহায় মানুষ। নতুন ঘর নির্মাণের কোনও সামর্থ্য তার নেই। একটি বাসযোগ্য ঘর পেলে তার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হতো বলে মনে করেন প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুনঃ ঝিনাইদহে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
Leave a Reply