স্টাফ রিপোর্টারঃ আসমানীদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও
রহিম উদ্দির ছোট্ট বাড়ী রসুলপুরে যাও, পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের সেই আসমানীরা হয়তো এখন আর নাই কিন্তু ব্রাহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কবলে গ্রাস হওয়া রুপক আসমানীরা এখন সানন্দবাড়ী সরকারি ভুমি অফিসের পাশে এলএসডি গোডাউন চত্তরে মানবেতর জীবনযাপন করতে দেখা গেছে ।
জামালপুরের সানন্দবাড়িতে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন অসহায় দরিদ্র ও ভূমিহীন বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া মোঃ মাজম(৭৫) দম্পতি। দিনের বেলায় বাহিরে অবস্থান করলেও রাত পোহায় ঝুপড়ি ভেঙে পড়ার আতঙ্কে। বিগত ঝড়-বৃষ্টিতে একাধিকবার উপর থেকে ঝুপড়ির চালা উড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
জানতে চাওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পান কিনা? এতে তিনি বলেন ‘ আমরা গরীব মানুষ আমাগো থাকার মত কোন ঘর নাই, জমিও নাই। বছর দশেক আগে পাটা ধোয়া পাড়া গ্রামে নামে মাত্র বাড়ির ভিটা ছিলো, সেটাও ব্রাহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাসে চলে গেছে। মাত্র একটা বয়স্ক ভাতার নাম আছে। আমি হাঁপানি রোগী , শ্বাসকষ্ট রোগ থাকায় কোনো কাজ করতে পারি না। একদিন বাইরে হাত না পাতলে পরের দিন পরিবারসহ উপোস থাকার উপক্রম হয়।
সরকার নাকি অসহায় ভূমিহীনদের বসতবাড়ি করে দেয়, আমাদের তো কিছুই দেয় না।
প্রতিবেশীরা জানান , মাজম দম্পতি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিস সংলগ্ন সরকারি গোডাউনের মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছেন। তার একটি ছেলে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ঝুপড়ি ঘরও নড়া দশা । তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।
চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, সরকারি ঘর বরাদ্দ এলেই আমি তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা পরবর্তী প্রকল্পে জমিসহ ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply