নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর মান্দায় প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

ঘটনাটি উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের কুলিহার মোড়ের। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জাফরাবাদ (চকভবানী) গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত গকুল সরদারের ছেলে আব্দুস সামাদ সরদার (৫০), আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে আতাউর হোসেন (৪০) ও আবু রায়হান ওরফে লিটন(৩০), নিচ কুলিহার গ্রামের সামসুদ্দীনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫), জাফরাবাদ গ্রামের মৃত. আব্বাস আলীর ছেলে আবু বক্কর (৪০), নিচ কুলিহার গ্রামের মৃত- হাফেজ পিয়াদার ছেলে বেলাল হোসেন পিয়াদা (৪৮), জাফরাবাদ গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মামুন (৩৫) চক ভবানী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে বাবু (৩৫) এবং নিচকুলিহার গ্রামের মৃত জহির সরদারের ছেলে আতাব হোসেন সরদার (৩৫) এর বিরুদ্ধে মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মান্দা উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সহ সভাপতি হাফিজুল হক।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত তয়েজ উদ্দিনের ছেলে হাফিজুল হকের সঙ্গে জাফরাবাদ (চকভবানী) গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত গকুল সরদারের ছেলে আব্দুস সামাদ সরদার গংদের দীর্ঘদিন ধরে কুলিহার মোড়ের একটি দোকান ঘর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।

বর্তমানে ওই জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের আব্দুস সামাদ গংরা গত ২১মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুর আড়াই টার দিকে ওই বিবাদমান পূর্বের দোকানঘর (বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিকলীগ এর ১২ নং কাশোঁপাড়া ইউ’পি শাখা ভবন) এর পূর্ব দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়ালের সাথে লাগানো ব্যানারটি চুরি করে নিয়ে যায়।

তাদের দাবি যে,বিবাদমান ঘরের দেওয়াল এবং দেওয়ালে লাগানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ৯৯৯ ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

এরপর ওইদিন রাতেই থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। অথচ,এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোন সহযোগীতা পাচ্ছেন না তারা।

ইতোপূর্বেও প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯, তাং-
০৪/১২/২০২২ধারা-১৪৩/৪৪৮
/৩৮০/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।

মামলা পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছেন।

উক্ত হুমকির কারণে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৭/১১৪/১১৭(৩) ধারা, তারিখ-২৬/০২/২৩ মামলা দায়ের করেন।

জমি সংক্রান্ত বিরোধে মামলা করার পর হতে অধ্যবধি আসামীগণ মামলাটি তোলার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করাসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করছেন।

এমতাবস্থায় তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। বর্তমানে তারা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।

ইতোমধ্যে ভাংচুরকৃত ব্যানারটি উদ্ধার করা হয়েছে। আর দেওয়ালটি ওই অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা না নেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

প্রতিপক্ষের আব্দুস সামাদ সরদার আতোয়ার রহমান,আবু রায়হান লিটন, রফিকুল ইসলাম, আবু বক্করসহ অন্যান্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ওসি-তদন্ত মেহেদী মাসুদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদের উভয়পক্ষকে একাধিকবার থানায় ডাকা হয়েছে।

অথচ, থানায় ডাকলে এক পক্ষ আসে সময়মতো আসে তো,আরেক পক্ষ আসে না।

সেজন্য বিষয়টি সমাধান করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন মানবতাবাদী প্রয়াত নেতা রতন বড়ুয়ার স্মরনসভা ও দানানুষ্ঠান ১৫ এপ্রিল