শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দা
ইউনিয়নের তিনআনী বাজারের বিশাল একটি সরকারি বাজারসেট,ইট ও মাটি কায়দা করে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা মিলে পানির দরে বিক্রি করেছেন।
আবার ওই মালামালের সর্বোচ্চ দরদাতা দেখানো হয় বাজারের প্রভাবশালী বাবুল মেম্বারকে। ওই মালামাল অন্তত ২০ গুন লাভে জনপ্রতিনিধিরা বাজারে বিক্রি করেছেন।
বাজারের শতশত মানুষের অভিযোগ বাজারের সরকারি ওই মালামালের দাম হবে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা। আর সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে মাত্র এক লাখ ৬০ হাজার টাকা।
প্রথমে ওই জনপ্রতিনিধিরা বাজার সেট খুলে ও ইট তুলে ওই বাজারেই পাহাড়ের মত করে রাখেন। কয়েক দিন আগে ওই মালামালের প্রকৃত ক্রেতারা যখন নিয়ে যায় তখন মানুষজন বোঝতে পারে আসল ঘটনা।
কিন্ত সরকার দলীয় প্রভাবশালি চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। বিষয়টি এখন ওই বাজারে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। কথিত ওই নিলাম দেখানো হয়েছে গত মে মাসের ১৩ তারিখ।
জানা গেছে সরকারের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ওই বাজারে আধুনিক সেট পুনঃনির্মানের দরপত্র আহবান করা হয়। ১৫/২০ দিন আগে কাজ শুরুর পূর্ব মুহুর্তে পুরাতন সেট সরানোর প্রশ্ন আসে।
বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে আইন মেনে চেয়ারম্যানকে নিলাম করার মৌখিক নির্দেশ দেন ইউএনও।
স্থানীয়রা বলছে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন মেম্বার পরিষদে বসে নিলামের নামে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন।
বাজারের প্রভাশালি ওই ইউপি মেম্বারকে সর্বোচ্চ দরদাতা দেখিয়ে সরকারি কোষাগারে অল্প টাকা জমা দিয়ে বিষয়টি হালাল করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবী পুরাতন ওই বাজার সেটে কমপক্ষে ১৫টন লোহা ও টিন ছিল।বাজার ও বাজার সংলগ্ন সড়কে লক্ষাধিক ইট ছিল।ইট,টিন,লোহার সাথে মাটি পর্যন্ত বিক্রি হয়ে গেছে।
চেয়ারম্যান মেম্বারদের আত্মীয় স্বজন চেলারা মিলে সাজানো একটি নিলামের ডাকে সরকারি এই সম্পদ গিলে ফেলা হলো।
১৫ দিন ব্যাপি অন্তত তিনশ শ্রমিক কথিত নিলামের মালামাল কেটেছেটে একত্র করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন দাবী
একালাকাবাসির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সরকার দলীয় বেশ কিছু নেতাকর্মী বলেছেন এখানে চুরি নয় দিনে দুপুরে ডাকাতি হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেছেন ইউনিয়ন পরিষদের নায়েব সব কিছুর সরকারি মূল্য নির্ধারন করেন। মাইকিং,নোটীশ হয়েছে,নিলামে বেশ কয়েকজন অংশ নিয়েছেন।
কেউ নোটিশ বা মাইকিং শুনেননি এমন দাবী বাজারের মানুষদের। ওই ইউনিয়নের নায়েব শওকত ইসলাম বলেছেন সরকারি মুল্য নির্ধারন দূরের কথা প্রচার নোটিশ সংক্রান্ত তিনি কিছুই জানেন না।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি শুধু নিলামের সময় থেকেছেন।নিলামে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ কয়েকজন ছিলেন।
চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নিলাম সঠিক ভাবে হয়েছে।
অভিযোগ মিথ্যা,প্রতিপক্ষরা অযথা প্রশ্ন তুলছেন। তবে মালামালের সরকারি মুল্যায়নের কোন কাগজ চেয়ারম্যান দেখাতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেছেন চেয়ারম্যানকে নিয়ম মেনে নিলাম করার জন্য বলা হয়েছে।
নিলাম নিয়ম মাফিক হয়েছে বলে চেয়ারম্যান আমাকে অবহিত করেছেন।আর কোন বিষয় আমি জানি
না।
আরও পড়ুন নাগরপুরে স্কুল ভবন ও রাস্তার কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি টিটু
Leave a Reply