চরফ্যাশন প্রতিনিধি।
চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতোমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের মতো ভোলা-৩ আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া।
তবে এখনো নির্বাচনের প্রায় ১০মাস বাঁকি থাকতেই লালমোহন তজুমদ্দিনের ভোটারদের মধ্যে চলছে নির্বাচনী আলোচনা।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্য দলগুলোরও একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো বলছেন,১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ আসন ছিলো বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিনের দখলে ও বিএনপি’র দুর্গে পরিণত হয়েছিলো।
তবে ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে বিএনপিকে হারিয়ে আসনটি লাভ করেন মেজর জসিম উদ্দিন।
তবে তখনো এ আসনে বিএনপির আধিপত্য ছিল। কিন্তু ৯ মাস ২০দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর ২০০৯ সালে একটি মামলায় সংসদ সদস্য পদ হারান মেজর জসিম উদ্দিন। এরপর ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল উপ নির্বাচনের মাধ্যমে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
এরপর থেকে তার রাজনৈতিক দক্ষতা ও নৈপুণ্যতায় এক সময়ের বিএনপির দুর্গখ্যাত এ আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের দুর্গ। এর ফলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাওন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহে সরেজমিন ঘুরে জানা যায়,সাংসদ শাওনের হাত ধরে ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সামনের দিকে নিয়ে আসা লালমোহন তজুমদ্দিনের আওয়ামীলীগ ও চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একজন স্বার্থলোভী,শেয়ার বাজার ও ব্যাংক লুট কারি ব্যবসায়ী লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান ও মেজর হাফেজ উদ্দিন এর ফাঁদে ১৪ বছরের সুসংগঠিত লালমোহন ও তজুমদ্দিনের আওয়ামী লীগকে ফালানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে ভোলা ৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন) আসনের তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল আলম হাওলাদার,সফিকুল ইসলাম বাদল, আ.ন.ম শাহজামাল দুলাল ও ফজলুল হক দেওয়ান বলছেন,এই আসনটিকে পুনরায় বিএনপি’র দূর্গে ফিরানোর জন্য বর্তমান জনপ্রিয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও লালমোহন তজুমদ্দিনের সুসংগঠিত আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত ও পরাজিত করার জন্য ব্যাংক লুট ও স্বার্থলোভী মহল এক হয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।
অভিযোগে তাহারা আরো বলেন,এআসনের তৎকালীন বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন ও আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জসিম উদ্দিনসহ দলীয় অঙ্গনে নাম না থাকা আবু নোমান হাওলাদার মিলে লন্ডনে থাকা বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফাঁদে পা রেখে আমাদেরকে আবার ২০০১ সালের তান্ডবে নিতে চাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তারা।
ব্যবসায়ী আবু নোমান হাওলাদার এলাকার বিভিন্ন মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত জলদস্যুদের কে টাকা দিয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এদিকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জসীম উদ্দীনের কাছে জানতে তাকে একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি । তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তিনি দেশের বাহিরে রয়েছেন।
অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত আবু নোমান হাওলাদার এর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য একাধিক কল দিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে।
এদিকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের দাবি শান্ত লালমোহন তজুমদ্দিনকে যাতে অশান্তিতে পরিণত না করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে সোশ্যাল মিডিয়াতে খারাপ ভাবে উপস্থাপনা করেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply