1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  4. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  5. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  6. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কামালপুর মুক্ত দিবস ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পথচারীদের মাঝে পানি ও জুস বিতরণ  শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মৃত্যু শয্যায় নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার নাগরপুরে পথচারীদের বিশুদ্ধ পানি দিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা শেরপুরে ছাত্র কল্যান পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান এর জন্মদিন পালন নাগরপুরে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সনদ বিতরণ  ঝিনাইগাতীতে ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা

প্রেম আসলে কী?

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২
  • ১২৭ বার পঠিত

প্রেম -একটি মানসিক রোগের নাম.

তথাকথিত প্রেম নামের জৈবিক আসক্তির কবলে পড়ে কত তরুণ-তরুণী যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জীবনের সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে, নিজের এবং পরিবারের জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তার ইয়ত্তা নেই ।

কিন্তু কেন ? প্রেম মানুষকে অন্ধ করে, প্রেম মানুষকে পাগল করে- এ কথাগুলো অনেকদিন ধরেই ছিলো গল্প-কবিতা-উপন্যাসের কথা ।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সম্প্রতি বিজ্ঞানও এই একই সুরে কথা বলছে । ইদানীং নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মানসিকভাবে অসুস্থ হলে মানুষের মস্তিষ্কে যে, রাসায়নিক অবস্থা দেখা যায়, প্রেমে পড়লেও সেই একই অবস্থা হয় ।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সংখ্যায় ‘লাভ দ্যা কেমিক্যাল রি-একশন’ শিরোনামের এক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । ইতালির পিসা ইউনিভার্সিটির মনোবিগ্গানের অধ্যাপিকা ডোনাটেল মারাজিতি তার সহকর্মীদের নিয়ে ২৪ জন নারী-পুরুষের ওপর এক জরিপ চালান ।

এদের মধ্যে সবাই গত ৬ মাসের মধ্যে প্রেমে পড়েছে এবং প্রতিদিন অন্তত ৪ ঘন্টা সময় এরা বাস্তবে প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে কাটায়- নয়তো মনে মনে চিন্তা করে । এদের সাথে তুলনা করার জন্যে বেছে নেয়া হয় আরো দুটো গ্রুপ ।

একটি গ্রুপ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) নামে এক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত । আরেকটি গ্রুপ এই দুটো থেকেই মুক্ত, অর্থাত্‍ তারা প্রেমেও পড়েনি এবং মানসিকভাবেও অসুস্থ নয় ।

পরীক্ষায় দেখা গেল, প্রেমে পড়া আর মানসিকভাবে অসুস্থ- দুই গ্রুপের মানুষের মস্তিষ্কেই সেরেটনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ কম ।

সেরেটনিন হলো মস্তিষ্কের এমন এক নিউরোট্রান্সমিটার যার পরিমাণ কমে গেলেই বিষন্নতা, অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ এবং ওসিডির মতো মানসিক রোগ দেখা দেয় । সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, প্রেমে পড়লেও একই অবস্থা হয় ।

কাজেই যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, প্রেমে পড়লে মানুষ আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকে না । তার বিচার বুদ্ধি লোপ পায় এবং সে অন্ধ আবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ আবেগের স্থায়িত্ব আবার খুবই কম । আজকে যাকে না পেলে বাঁচবো না বলে মনে হচ্ছে, বছর না ঘুরতেই মনে হতে পারে যে, তাকে না ছাড়লে বাঁচবো না ।

৬ মাস আগেও যে চেহারাটা দেখার জন্যে অস্থির হতো মন, এখন সে চেহারাটাই হতে পারে সবচেয়ে অসহ্য দৃশ্য ।

এর কারণ কি ? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর পেছনে আছে ডোপামাইন নামে এক নিউরোট্রান্সমিটারের ভূমিকা । প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দেখলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ এই ডোপামাইন দ্বারা উদ্দীপ্ত হয় ।

এর প্রভাবে শরীর-মনে তখন সৃষ্টি হতে পারে বাঁধভাঙা আনন্দ, অসাধারণ প্রাণশক্তি, গভীর মনোযোগ ও সীমাহীন অনুপ্রেরণা । এ জন্যেই হয়তো যারা সদ্য প্রেমে পড়ে, হঠাত্‍ করেই তাদের মধ্যে এক ধরনের বেয়াড়া, একগুঁয়ে, দুঃসাহসী চরিত্র ফুটে ওঠে ।

ঘর ছাড়বে, সিংহাসন ছাড়বে, জীবন দেবে; তবু প্রেম ছাড়বে না- এমনই এক বেয়াড়াপনা দেখা যায় তাদের মধ্যে । বিজ্ঞানীরা বলেন, মাদকাসক্তির সাথে এ অবস্থাটার খুব মিল রয়েছে ।

মাদকাসক্তদের কিন্তু মাদক গ্রহণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলে । কারণ মাদকের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন ব্রেন তাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে ।

ফলে পরিমাণ না বাড়ালে তার নেশা হয় না । প্রেমের ক্ষেত্রেও তা-ই । তীব্র আবেগের আতিশয্য খুব বেশি সময় ধরে থাকেনা যদি না নতুন নতুন উত্তেজনা দেয়া না যায় ।

কিন্তু বাস্তব জীবনে তো আর তা সম্ভব নয় । ফলে অল্পতেই ঘোলাটে হয়ে যায় আবেগের রঙিন চশমা ।

আসলে স্বর্গীয়, পবিত্র ইত্যাদি নানারকম বিশেষণ যুক্ত করে যে প্রেমকে মহান বানানো চেষ্টা চলে তা যে স্রেফ বংশধারা রক্ষার জন্য নারী-পুরুষের জৈবিক চাহিদারই নামান্তর তা বিজ্ঞানীদের কথায় স্পষ্ট হয়েছে ।

গবেষণায় দেখা গেছে, পারস্পরিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে একজন পুরুষ বা একজন নারী অবচেতনভাবেই এমন সঙ্গীকে পছন্দ করে, যে তাকে সুস্থ সবল একটি সন্তান উপহার দিতে পারবে ।

এক জরীপে দেখা গেছে, মহিলাদের কোমর ও হিপের বিশেষ গরন যা তাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়াকে নির্দেশ করে, তার ওপর নির্ভর করে কে কতটা আকর্ষণীয় হবে ।

আর নারী ও পুরুষের এ দুটো বৈশিষ্ট্যই তাদের সন্তান জন্মদানের সামর্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করে ।

তাই বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, প্রেমের পাগলামিকে আবেগের হাওয়া না দিয়ে ব্রেনের জৈব রাসায়নিক কার্যকরণ হিসেবেই দেখুন ।

তাহলে অন্তত আপনি এ দুর্দশা থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে পারবেন ।

আরও পড়ুনবৃটেনের কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলে লেবার পার্টির জয়জয়কার ; দুই বোনসহ পাঁচ বাঙালি কাউন্সিলার নির্বাচিত

সৌদিতে ক্লিনার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park