
অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে পাঁচ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা তাঁদের এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ এ কর্মসূচি পালন করছে। ১৯ অক্টোবর থেকে সংগঠনটি অবস্থানের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েটদের দাবিগুলো হলো প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও প্রতি দুই বছর পরপর বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ; প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ; দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রুতলেখক নিজের পছন্দে মনোনয়নের সুযোগ দেওয়া; সমাজসেবা অধিদপ্তরের ব্রেইল শিক্ষা কার্যক্রম ও পিএইচটি সেন্টারের শূন্য পদে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা আর সাধারণ প্রার্থীদের বয়সসীমা ৩৫ হলে তাঁদের জন্য ৩৭ বছর নির্ধারণ করা।
প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেকারত্ব একটা অভিশাপ। গ্র্যাজুয়েশন শেষে বসে থাকা মানে পরিবারের ওপর বোঝা হয়ে থাকা। যত দিন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে না পারব এবং আমাদের দাবি না মানা হবে, তত দিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ দিন হলো আমরা রাজু ভাস্কর্যে দিন—রাত অবস্থান করছি। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
এমনকি আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোতেও তাঁরা চাকরি করেন। অথচ এই সোনার বাংলায় ৫৪ বছর পরও মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণ: দুই সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি সংবাদ সম্মেলনে মায়ের আহাজারি
Leave a Reply