প্রধান শিক্ষক মফিজুল হকের আশায় গুড়ে বালি, পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল হকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত শুরু করেছেন তদন্ত কমিটি। বুধবার বেলা ৩ টায় বিদ্যালয়ে এসে অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করেছেন তারা। এ সময় প্রধান শিক্ষক তদন্ত কমিটির সদস্যদের সহানুভুতি পাবার আশায় তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলে তা প্রত্যাখান করে বিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
তদন্ত কমিটি সুত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মফিজুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে ছাত্র-জনতা ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। প্রধান শিক্ষক গত ১২ সেপ্টেম্বর নোটিশের জবাব দেন। জবাব সন্তোষ জনক না হওয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহ এবং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সাজেদুর রহমান লিটন। ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। গত ২৮ আক্টোবর অভিযোগ তদন্ত করার উদ্যোগ নেয় তদন্ত কমিটি। বুধবার পাইলট স্কুলে এসে অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করেন তারা। তদন্ত কমিটির সদস্য সাজেদুর রহমান লিটন জানান, প্রথমিক ভাবে তথ্য উপাত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।
এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সদস্যদের সহানুভুতি পাবার আশায় প্রথান শিক্ষকের পক্ষ থেকে কমিটির সদস্যদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের সে আশায় গুড়ে বালি। তদন্ত কমিটি কোন কিছুই স্পর্শ করেননি। তাদের অপ্যায়ন করানোর জন্য চেষ্টা করা হলেও না খেয়েই বিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এ বিষয়ে শিক্ষক মফিজুল হক জানান, সহানুভুতি পাবার আশায় নয়, অফিসার হিসেবে আপ্যায়নের আযোজন করা হয়। কিন্তু তারা এতে রাজি হননি।
তদন্ত কমিটির অপর সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহ জানান, অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক আপ্যায়নের অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন। কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।
Leave a Reply