নিজস্ব প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করায় সাবেক স্বামীকে হত্যার পর গুম করার হুমকি দিয়েছেন বেলিনা আক্তার (৩০) এক নারী।
এই বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক স্বামী খালিদ হাসান।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার একটি মিডিয়া হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাবেক স্বামী খালিদ হাসান।
খালিদ হাসান উপজেলার বালিজুড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত বেলিনা মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ গ্রামের বেলাল হোসেনের কন্যা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খালিদ হাসান জানান- প্রেমের পর ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট বেলিনার সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শারীরিক মেলামেশার সময় অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিও গোপনে ধারন করে রাখতো বেলিনা।
এক পর্যায়ে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লাখ টাকা সহ স্বর্ণের গহনা হাতিয়ে নেয়। এরপর আবার টাকা চাইলে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বেলিনা আমার অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এরপর চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আমাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা (তালাক) দেয় বেলিনা। তালাকের পর ফোন করে আবারো কিছু নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে বেলিনা। এরপর আমি ময়মনসিংহে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে বেলিনা ও তার মা,বাবাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি।
সেই মামলা তুলে নিতে ফোন করে ও বিভিন্ন লোক দিয়ে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বেলিনা।
খালিদ হাসান আরও বলেন-‘আমি ছিলাম বেলিনার দ্বিতীয় স্বামী। আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে প্রায় নগদ ১০ লাখ টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া তার বাবার বাড়িতে আমি ঘর, ঘরের আসবাবপত্র করে দিয়েছি। এরপর যখন বেলিনা আরো টাকা চাইছে।
তখন আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বেলিনা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আরো টাকা চাই। এখন মামলার পর তিনি ও তার চক্রের সদস্যরা এমনভাবে হুমকি দিচ্ছে যে আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছি না।
বিষয়ে আমি মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেছি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেলিনার সাথে কথা বলতে মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকবার তাঁর মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন বাংলা নববর্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
Leave a Reply