মোঃজাহেরুল ইসলাম,আটোয়ারী, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর এর ব্যবস্থাপনায় নরমাল ডেলিভারী সহ সিজারিয়ান অপারেশন একদিনে ১০ টি সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডা. মো: হুমায়ুন কবির যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি যুগোপযোগি নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। যোগদানের পর স্বল্প সময়ে তিনি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন সর্ব সাধারণের কাছে। চিকিৎসা সেবার মান আরো উন্নত হয়েছে বলে এলাকা বাসি জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: হুমায়ুন কবির বলেন, কর্মেই জীবন,কর্মেই ভালবাসা,কর্মেই বসন্ত, আলহামদুলিল্লাহ। পঞ্চগড় সিভিল সার্জন , ডা:মোস্তফা জামান চৌধুরী মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়মিত অপারেশনের অংশ হিসাবে আজ বুধবার ২৮ফেব্রুয়ারী আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে দুইটি নরমাল ডেলিভারী এবং আটটি সিজারিয়ান অপারেশন করেন জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী এন্ড অবস্ ডা: নাহিদ সিদ্দিকা এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী এন্ড অবস্ ডাঃআফিফা জান্নাত আফি তেঁতুলিয়া । জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিস্ট ডা: সিরাজউদদৌলা পলিন, সদর, পঞ্চগড়। অপারেশনে সহকারী হিসেবে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: হুমায়ুন কবির ও ডা:শাফায়েত লস্কর। ওটি ইন্চার্জ ফেরদৌসী বেগম,নার্সিং সুপারভাইজার আরশেদা বেগম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সিজারিয়ান অপারেশন (সপ্তাহে এক দিন), প্রতি বুধবার সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য নির্ধারিত। আগামী বুধবারে যারা
অপারেশন করাতে চান তাদেরকে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন। জানা গেছে, জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা আটোয়ারী। ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আগে সিজারিয়ান অপারেশন এর ব্যবস্হা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল উপজেলাবাসীকে। সে সময় উপজেলাবাসীকে সরকারি সেবা নিতে যেতে হতো পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল বা পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও জেলায়।
এছাড়া হাসপাতাল থেকে রোগীদের স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল বা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।বিকল্পভাবে, বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।
প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। এছাড়া দালালদের হাতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে রোগীদের। উপজেলার একটি গ্রামের একজন হতদরিদ্র ব্যাক্তি বলেন কিছুদিন আগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি পুত্রের পিতা হন। মঙ্গলবার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সব কথা বলা হয় চিকিৎসককে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কোনো টাকা ছাড়াই সিজারিয়ান করিয়েছেন ডাক্তার। এটা আমার মত একজন গরীব মানুষের জন্য খুবই উপকারী হয়েছে। এটা সত্যিই ভাল লাগছে।!
Leave a Reply