হাছানুর রহমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ভূট্টা ফসলের খেতে, কাজ করছেন নানা বয়েসি নারী-পুরুষ আছে ধানও খেতও। জমিনে যেন করেছে চরের সবুজের সাথে। চরভর্তি ফসলই যেখানকার প্রধান পরিচয় তিস্তা তিস্তার বুক যেন মেলে রেখেছে কৃষকের জন্য।
গল্পটা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরের। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার চরে ফসলের হাসি দেখা যায়। কৃষকদের চরের জীবনে নদীর সাথে যুদ্ধ করে চলে অবিরাম। শুষ্ক মৌসুমে ফসল ফলিয়ে সে যুদ্ধে বিজয়ের হাসিটা হাসতে চায় কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসারের তথ্যমতে, তিস্তার চরে ৩ হাজার ৮ শত পাঁচ হেক্টর জমি আবাদ যোগ্য হয়েছে। চরের জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসল চাষাবাদের এখন মৌসুম চলছে।
ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ চর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি চরেই কৃষকরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাখি ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা ঘুনিয়ে আসা পর্যন্ত খেতে কাজ করেন কৃষকেরা। তিস্তা চরের বালু মাটি যেন হয়ে উঠেছে সোনায় সোয়াগায় পরিণত হয়েছে তাদের হাতের ছোঁয়ায়।
উপজেলার খালিশা চাপানি এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান জানান, ‘গত বছর ভুট্টার দাম বেশি পাইনি। এবার আশা করছি, ভালো দাম পাওয়ার। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে। এই তিস্তা চরে আবাদ করে আমাদের নদীপাড়ের মানুষের সংসার চলে। চাষাবাদের জন্য তেমন কোনো জমি নেই আমাদের। তাই প্রতিবছর নদীতে চর জাগলে চাষাবাদ করি।’
ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের আজগার আলী বলেন, ‘তিস্তায় জেগে ওঠা চরের পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষ হচ্ছে ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, কুমড়াসহ নানান জাতের ফসল। ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।’
তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় খেত পরিচর্যা করা কৃষক ছামসুল হোসেন বলেন, ‘চরে, পিয়াজ ভুট্টা, মরিচ, চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি, দামও ভালো পাবো।’
উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, ডিমলা উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ৮শ’ পাঁচ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ নানা জাতের ফসল চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ কৃষককে বিভিন্ন ধরনের সার বিজ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে বলে তিনি জানান।
আরও বলেন, তিস্তার নদীর জাগ্রত চরকে ঘিরে নদী এলাকার মানুষদের ভাগ্যের দুয়ার খুলেছে। চলতি মৌসুমে তারা সবজির বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ও দাম ভালো পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply