মহিউদ্দিন মহি খন্দকারঃ ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের মোহসিনা আক্তার এর সংসার ভেঙে যাওয়ার পর থেকে দুই কন্যা সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। তিনি ফুলগাজী উপজেলার বশিকপুর বকশি শাহ্ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ আজাদ জানান, তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষকদের মধ্যে একজন, ওনার জ্ঞানের তুলনা হয় না। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীর শারিরিক – মানসিক নির্যাতন এবং ডির্ভোজের কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন দুটি ছোট্ট কন্যা সন্তান নিয়ে। মানসিক ভারসাম্যহীন এই শিক্ষিকা মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করেন সবার সাাথে।
তার ২মেয়ের (একটা ৫ বছর আরেকটা ৩ বছর) এবং তাঁর এই করুন দশা দেখলেই অজান্তে কান্না চলে আসে। তার পোষাকের ঠিক নেই,খাবারের ঠিক নেই, ঘুমানোর ঠিক নেই; এইভাবেই তাঁর দিন যাচ্ছে। কষ্ট করছে ছোট ২টি বাচ্চাও।
সম্মানিত এই মহান শিক্ষিকার বিপদে পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, এখন পর্যন্ত ঐ শিক্ষিকা চিকিৎসা অথবা উনার পাশে কেউ দাঁড়াননি বা দায়িত্ব কেউ নেননি।
যারা দেশে ও সমাজের বিত্তবান প্রবাসী ধনীব্যক্তি শিল্পপতিদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক কতৃপক্ষ, তার ছোট্ট দুইটার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে যেভাবে হোক তাঁর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানান। তিনি এখন মানসিক চিকিৎসাধীন দুই কন্যা সহ ফেনীর একটি বাড়িতে মনিরুলের মায়ের তত্বাবধানেই আছে। বর্তমানে (একটি স্বেচ্ছাসেবী, মানবিক ও সামাজিক সংগঠন) তত্বাবধানে ফেনী সাইক্রেটিক হাসপাতালে মানসিক রোগের ডাক্তার জাকারিয়া সিদ্দিকের আওতায় ভর্তি আছে।সেখানে ম্যাডামের প্রতিদিন থাকা খাওয়া ও ঔষধ বাবদ ১৬০০টাকা খরচ রয়েছে। এখন প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় এই শিক্ষিকা তার কন্যাদের নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারবে।
Leave a Reply