1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. aminulbahar3331@gmail.com : Md. Aminul Islam : Md. Aminul Islam
  4. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  5. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  6. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  7. r01944785689@gmail.com : Rashadul Islam Rony : Rashadul Islam Rony
  8. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কামালপুর মুক্ত দিবস কাহারোলে মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত।। সরিষাবাড়ীতে বিএনপি’র জনসভা অনুষ্ঠিত  জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খানসামা উপজেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার শৈলকুপায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা চলবে না চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা বিএনপির উদ্যেগে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কোটচাঁদপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নরসিংদীতে যারা জামানত হারাবে-তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে :খায়রল কবির খোকন শেরপুর-২ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশ শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক-অভিভাবক ঐক্য অপরিহার্য: শফিউল আলম

প্রেম আসলে কী?

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২
  • ৩১০ বার পঠিত
10

প্রেম -একটি মানসিক রোগের নাম.

তথাকথিত প্রেম নামের জৈবিক আসক্তির কবলে পড়ে কত তরুণ-তরুণী যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জীবনের সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে, নিজের এবং পরিবারের জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তার ইয়ত্তা নেই ।

কিন্তু কেন ? প্রেম মানুষকে অন্ধ করে, প্রেম মানুষকে পাগল করে- এ কথাগুলো অনেকদিন ধরেই ছিলো গল্প-কবিতা-উপন্যাসের কথা ।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সম্প্রতি বিজ্ঞানও এই একই সুরে কথা বলছে । ইদানীং নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মানসিকভাবে অসুস্থ হলে মানুষের মস্তিষ্কে যে, রাসায়নিক অবস্থা দেখা যায়, প্রেমে পড়লেও সেই একই অবস্থা হয় ।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সংখ্যায় ‘লাভ দ্যা কেমিক্যাল রি-একশন’ শিরোনামের এক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । ইতালির পিসা ইউনিভার্সিটির মনোবিগ্গানের অধ্যাপিকা ডোনাটেল মারাজিতি তার সহকর্মীদের নিয়ে ২৪ জন নারী-পুরুষের ওপর এক জরিপ চালান ।

এদের মধ্যে সবাই গত ৬ মাসের মধ্যে প্রেমে পড়েছে এবং প্রতিদিন অন্তত ৪ ঘন্টা সময় এরা বাস্তবে প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে কাটায়- নয়তো মনে মনে চিন্তা করে । এদের সাথে তুলনা করার জন্যে বেছে নেয়া হয় আরো দুটো গ্রুপ ।

একটি গ্রুপ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) নামে এক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত । আরেকটি গ্রুপ এই দুটো থেকেই মুক্ত, অর্থাত্‍ তারা প্রেমেও পড়েনি এবং মানসিকভাবেও অসুস্থ নয় ।

পরীক্ষায় দেখা গেল, প্রেমে পড়া আর মানসিকভাবে অসুস্থ- দুই গ্রুপের মানুষের মস্তিষ্কেই সেরেটনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ কম ।

সেরেটনিন হলো মস্তিষ্কের এমন এক নিউরোট্রান্সমিটার যার পরিমাণ কমে গেলেই বিষন্নতা, অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ এবং ওসিডির মতো মানসিক রোগ দেখা দেয় । সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, প্রেমে পড়লেও একই অবস্থা হয় ।

কাজেই যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, প্রেমে পড়লে মানুষ আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকে না । তার বিচার বুদ্ধি লোপ পায় এবং সে অন্ধ আবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ আবেগের স্থায়িত্ব আবার খুবই কম । আজকে যাকে না পেলে বাঁচবো না বলে মনে হচ্ছে, বছর না ঘুরতেই মনে হতে পারে যে, তাকে না ছাড়লে বাঁচবো না ।

৬ মাস আগেও যে চেহারাটা দেখার জন্যে অস্থির হতো মন, এখন সে চেহারাটাই হতে পারে সবচেয়ে অসহ্য দৃশ্য ।

এর কারণ কি ? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর পেছনে আছে ডোপামাইন নামে এক নিউরোট্রান্সমিটারের ভূমিকা । প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দেখলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ এই ডোপামাইন দ্বারা উদ্দীপ্ত হয় ।

এর প্রভাবে শরীর-মনে তখন সৃষ্টি হতে পারে বাঁধভাঙা আনন্দ, অসাধারণ প্রাণশক্তি, গভীর মনোযোগ ও সীমাহীন অনুপ্রেরণা । এ জন্যেই হয়তো যারা সদ্য প্রেমে পড়ে, হঠাত্‍ করেই তাদের মধ্যে এক ধরনের বেয়াড়া, একগুঁয়ে, দুঃসাহসী চরিত্র ফুটে ওঠে ।

ঘর ছাড়বে, সিংহাসন ছাড়বে, জীবন দেবে; তবু প্রেম ছাড়বে না- এমনই এক বেয়াড়াপনা দেখা যায় তাদের মধ্যে । বিজ্ঞানীরা বলেন, মাদকাসক্তির সাথে এ অবস্থাটার খুব মিল রয়েছে ।

মাদকাসক্তদের কিন্তু মাদক গ্রহণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলে । কারণ মাদকের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন ব্রেন তাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে ।

ফলে পরিমাণ না বাড়ালে তার নেশা হয় না । প্রেমের ক্ষেত্রেও তা-ই । তীব্র আবেগের আতিশয্য খুব বেশি সময় ধরে থাকেনা যদি না নতুন নতুন উত্তেজনা দেয়া না যায় ।

কিন্তু বাস্তব জীবনে তো আর তা সম্ভব নয় । ফলে অল্পতেই ঘোলাটে হয়ে যায় আবেগের রঙিন চশমা ।

আসলে স্বর্গীয়, পবিত্র ইত্যাদি নানারকম বিশেষণ যুক্ত করে যে প্রেমকে মহান বানানো চেষ্টা চলে তা যে স্রেফ বংশধারা রক্ষার জন্য নারী-পুরুষের জৈবিক চাহিদারই নামান্তর তা বিজ্ঞানীদের কথায় স্পষ্ট হয়েছে ।

গবেষণায় দেখা গেছে, পারস্পরিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে একজন পুরুষ বা একজন নারী অবচেতনভাবেই এমন সঙ্গীকে পছন্দ করে, যে তাকে সুস্থ সবল একটি সন্তান উপহার দিতে পারবে ।

এক জরীপে দেখা গেছে, মহিলাদের কোমর ও হিপের বিশেষ গরন যা তাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়াকে নির্দেশ করে, তার ওপর নির্ভর করে কে কতটা আকর্ষণীয় হবে ।

আর নারী ও পুরুষের এ দুটো বৈশিষ্ট্যই তাদের সন্তান জন্মদানের সামর্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করে ।

তাই বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, প্রেমের পাগলামিকে আবেগের হাওয়া না দিয়ে ব্রেনের জৈব রাসায়নিক কার্যকরণ হিসেবেই দেখুন ।

তাহলে অন্তত আপনি এ দুর্দশা থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে পারবেন ।

আরও পড়ুনবৃটেনের কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলে লেবার পার্টির জয়জয়কার ; দুই বোনসহ পাঁচ বাঙালি কাউন্সিলার নির্বাচিত

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park