
আব্দুল মতিন মুন্সী ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রাজনৈতিক মামলার আসামি হওয়ার খবরে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মো. রুহুল ফকির (৬৫)। তিনি উপজেলার রাখালতলী গ্রামের বাসিন্দা। গত ৮ নভেম্বর রাতে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ প্রতিপক্ষ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপের প্রায় দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৮ নভেম্বর থানায় এজাহার দাখিল করেন। ওই মামলায় ২৯ নম্বর আসামি করা হয় বৃদ্ধ রুহুল ফকিরকে।
পরিবারের দাবি, রুহুল ফকির কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে জমি-জমা নিয়ে শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রইসুল ইসলাম পলাশের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পলাশের লোকজনের নির্যাতনে রুহুল ফকির অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
মৃতের স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, “আমার স্বামী অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু জমি নিয়ে পলাশ চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ থাকায় তিনি আমাদের দুই পাখি জমি দখল করে নেন এবং আমার স্বামীকে মারধর করেন। পরে অব্যাহত হুমকি-ধমকির মধ্যে আমার স্বামী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এর মধ্যে আবার রাজনৈতিক মামলায় অন্যায়ভাবে তার নাম দেয়া হয়। খবরটি শোনার পরই তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান।”
বৃদ্ধার অভিযোগ, রুহুল ফকিরের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত পলাশ চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রুহুল ফকিরের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। তার মৃত্যুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে ঘায়েল করার জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।”
আরও পড়ুনঃ সরিষাবাড়ীতে কর্মী ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত
Leave a Reply