
গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডলঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গরু চুরি করে পালানোর মুহুর্তে স্থানীয়দের হাতে ধরা পরে এবং গণপিটুনিতে তাদের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটের দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী মাজার এলাকায় জনৈক সালামের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজন চুরির বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীসহ গ্রামের সবাই মিলে মিলে লাঠিসোঁটা হাতে চোরকে ধাওয়া করলে তারা পার্শ্ববর্তী নাসিরাবাদ গ্রামের পালিয়ে যায়। পরে নাসিরাবাদ গ্রামবাসী গরু চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করলে ৩ চোর স্থানীয় এক পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এসময় এলাকাবাসী তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই ২ চোর নিহত হয় এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আখতারুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ আহত চোরকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
অপরদিকে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের দুর্গম তিস্তার চরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আব্দুস সালাম (৫০)। তিনি একই ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের মো. ওয়ামেদ আলীর ছেলে। আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গণি মিয়ার গোয়াল ঘরে প্রবেশ করেন আব্দুস সালাম। এ সময় গণি মিয়ার স্ত্রী দুলালী বেগম বিষয়টি টের পেয়ে তার স্বামীকে জানান। পরে তারা আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এরপর স্থানীয়রা এসে সালামের দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিট শেষে আব্দুল সালামকে একটি পুকুরের পানিতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। সকালে পুকুর থেকে তুলে সালামকে আবার মারপিট করলে মারপিটের একপর্যায়ে সালাম নামে একজন মারা যান।
নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
Leave a Reply