
মালিকুজ্জামান কাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্রিফিংয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন যশোরের ছয় আসনের ৩৫ মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাকে মনোনয়ন দেবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রত্যেকের তা মেনে কাজ করতে হবে। কেউ যদি দলীয় সিদ্ধান্ত মানতে না চান তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলা শুরু করেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনকে খুবই চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অগ্রিম বার্তা দিচ্ছেন। সোমবার খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঢাকায় ডাকা হয়। তারেক রহমানের ব্রিফিংয়ে অংশ নিতে যশোর থেকে ঢাকায় যান ৩৫ মনোনয়ন প্রত্যাশী।
যারা ঢাকায় যান তাদের মধ্যে যশোর-১ (শার্শ) আসনে চারজন, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে ছয়জন, যশোর-৩ (সদর) আসনে চারজন, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে তিনজন, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে ছয়জন ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে চারজন ছিলেন উল্লেখযোগ্য।
যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে ঢাকায় যান বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসন থেকে যান ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোর্তজা এলাহী টিপু, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও বিএনপি নেতা ইমরান সামাদ নিপুণ।
যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকায় যান। তারা হলেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মারুফুল ইসলাম।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসন থেকে যান অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব ও ব্যারিস্টার নূরে আলম সিদ্দিকী।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে যান মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শহিদ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবু মুসার ছেলে শাহীন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি ও তাজউদ্দিন।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে গিয়েছিলেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু।
ঢাকায় গিয়েছিলেন এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি বাইরে বলা কড়াকড়িভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাদের।
বিএনপি যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন সেটি মেনে নিয়ে তার পেছনে কাজ করতে হবে। কেউ যদি কোনোরকম এদিকওদিক করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে দল।এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
এরপর লোকজনের মধ্যে আছেন বলে বিস্তারিত কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এ বিষয়ে বলেন ‘আগামী নির্বাচনে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখতে বলা হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
আরও খবর: এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাতের পক্ষ থেকে বকশীগঞ্জে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
Leave a Reply