
ক্রাইম রিপোর্টারঃ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। চলছে নানা ধরণের অভিযান। সেখানেই রংপুর জেলাধীন সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দফাদার মোঃ মাহামুদুল হাসান মাদক জুয়া ,বালু ও মাটি খেকোদের কাছ থেকে প্রতিমাসে অর্ধ লক্ষাধীক টাকা বাণিজ্য করে শেলডার দিয়েছেন আসছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন,আমি পালিচড়া শহিদ নগরে একটি চায়ের দোকনে বসে চা খাচ্ছিলাম। তখন দফার আমাকে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাজারের পিছনে একটি বাশঁ ঝাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। এবং আমার পকেট থেকে ৩হাজার ৭৫০ টাকা বের করে নেয়। এবং বলে আমি যদি এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলি তাহলে আমাকে মাদক ব্যাবসায়ী বলে চালান দিবে থানায়। এখন আমিসহ আমার পরিবার আতংকে আছি। যে কোন সময় আমাকে মাদক ব্যাবসায়ী সাজিয়ে দফাদার আমাকে গ্রেপ্তার করাতে পাড়ে বলে অঝড়ে কাঁদতে থাকেন সেই যুবক।
বালু খেকো সিন্ডিকেটের মূলহোতা সেলিম মিয়া বলেন,আপনারা আমাদের রিরুদ্ধে নিউজ করে কি করবেন? আমাদের থেকে প্রতিমাসে দফাদার এসে টাকা নিয়ে যায়। এবং থানা থেকে পুলিশ আসুক আর ইউএনও, এসিল্যান্ড কিংবা মোবাইল কোর্ড করার জন্য কোন অফিসার আসলেই তিনি আমাদের সংবাদ দেয়। আমরা সড়ে যাই এবং সব কিছু সরিয়ে নেই।
দফাদার মাহামুদুল এর প্রতিবাসী আমাদের জানান,আগে দফাদারে ছিল অভাবের সংসার। চাকরি পাবার পর পরি যেন যাদুর চেরাগ বা আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন। এখন তারা দুই থেকে তিন তলা ফাউন্ডেশনের ভিত্তি দিয়েছেন। যার কাজ চলমান। আসলে এই অল্প টাকার বেতন দিয়ে এত কিছু করা কিভাবে সম্ভব আমার কিংবা আমাদের জানা নাই। এটা আসলে তদন্ত করা দেখা দরকার।
রংপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,কেউ যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। তাহলে তদ›ত করে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সদর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল রহমান বলেনম, আমার বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে তদন্ত করা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এই ঘটনায় বার বার মুটো ফোনে সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের দফাদার মোঃ মাহামুদুল হাসানের বাসায় গিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।
Leave a Reply