নিজস্ব প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম তারা: কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে সাড়া দিয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চলেছে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি।
সারা দেশের ন্যায় এখানেও স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকবৃন্দ তাদের ৬ দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI) সহ তৃণমূল পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন এ মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, পদোন্নতি জটিলতা ও আর্থিক বৈষম্যের কারণে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১️ স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন,
২️ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং বাস্তবায়ন,
৩️ ১৪তম গ্রেডে আপগ্রেডেশন,
৪️ জনবল সংকট নিরসন,
৫️ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং
৬️ অবসর ও পেনশন সুবিধা যথাযথভাবে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে তারা ইপিআইসহ সকল প্রকার টিকাদান কার্যক্রম, আসন্ন টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন।
কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন,
“আমাদের এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক নয়, এটি ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। যতদিন পর্যন্ত সরকার আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না করবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।”
অন্যদিকে, কর্মবিরতির ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য সহকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সরকার দ্রুত তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে, যাতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত না হয় এবং মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয় ।
আরও পড়ুনঃ দিনাজপুরে কান্তজীউ মন্দির পরিদর্শনে-ভূমি সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ
Leave a Reply