দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: সানন্দবাড়ীর সবুজপাড়া ও মকিরচরে পাগলা কুকুর আতঙ্কে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। দিন-রাত যেকোনো সময়ে রাস্তায় বের হলেই লাঠি হাতে মানুষকে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। অভিভাবকরা সন্তানদের নিরাপত্তা দিয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ছুটির পর বাড়ি ফিরিয়ে আনছেন।
এরইমধ্যে পাগলা কুকুরের কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিশু, কিশোর ও তরুণরা রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, একদল কুকুর হঠাৎ সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই আক্রমণ করছে, এমনকি মানুষের বাড়িঘরেও ঢুকে পড়ছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। ইতিপূর্বে গ্রামবাসী একটি কুকুর পিটিয়ে মেরেও ফেলেছেন।
সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে চিকিৎসা নিয়ে। আক্রান্তরা অভিযোগ করেছেন, সানন্দবাড়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এন্টিরেবিস ভ্যাকসিন নেই। বাজারেও মিলছে না এই টিকা। বাধ্য হয়ে কেউ জামালপুর বা বকশিগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে আবার খরচের ভার বহন করতে না পেরে কবিরাজি চিকিৎসা ও ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন,
“বেওয়ারিশ কুকুরে কামড়ানোর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া গেলে Mass Vaccination (সব কুকুরকে একসাথে ভ্যাকসিন দেওয়া) কার্যক্রম শুরু হবে।”
স্থানীয়রা দ্রুত সানন্দবাড়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারিভাবে এন্টিরেবিস ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং কুকুর নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সাথে পাগলা কুকুর থেকে নিষ্কৃতি চান।
Leave a Reply