নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ বাম জোট, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি যৌথ সামরিক মহড়ার নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সামরিক বিমান ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। অবিলম্বে‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের’ এসব তৎপরতা বন্ধ না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাম জোট। বিবৃতিতে সই করেছেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন,সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ,বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ,বাসদের (মার্ক্সবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা,গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী। বিবৃতিতে বলা হয়,পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নানামুখী অপতৎপরতা চলছে। এ সময় এ ধরনের সেনাদের উপস্থিতি এই অপতৎপরতাকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে।
বাম জোট বলেছে, ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’নামের এই যৌথ মহড়ার আওতায় বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অনুমোদন দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তার এখতিয়ারের বাইরে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে চলছে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তার পরিপন্থী। বাম জোটের অভিযোগ, চট্টগ্রামের মতো স্পর্শকাতর ভৌগোলিক অঞ্চলে,গভীর সমুদ্রে মার্কিন বাহিনী বহু আগে থেকেই সামরিক ঘাঁটি করার জন্য লোলুপ দৃষ্টি ফেলে রেখেছে। উপরন্তু মিয়ানমার সীমান্ত এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমস্যা বিদ্যমান। সেই সঙ্গে এখানে দেশের তিন বাহিনীর অনেক গোপনীয় এবং স্পর্শকাতর স্থাপনা রয়েছে। এ রকম একটি এলাকায় মার্কিন এই সামরিক উপস্থিতি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণাঙ্গ বিবৃতিও দাবি করেছে বাম জোট। অবিলম্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এসব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়ে তারা বলেছে,মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply