নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সতর্কতা: ইঁদুরের বিষ বা রডেন্টিসাইড ব্যবহারের সময় সঠিক পদ্ধতি জানা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত,কারণ এটি অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায়, গণসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করণের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব জোহরা সুলতানার-ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গ্রামগঞ্জে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে দৃষ্টান্ত স্থাপন।
উল্লেখ্য যে,ইঁদুর নিধন বলতে ইঁদুর মেরে ফেলার প্রক্রিয়া বোঝায়,যা প্রধানত রাসায়নিক পদ্ধতি যেমন রডেন্টিসাইড বা ইঁদুরের বিষ ব্যবহার করে করা হয়। এছাড়াও, ফাঁদ ব্যবহার, ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে বা জল ঢেলে বের করে মারা,এবং ধোঁয়া দিয়ে তাড়ানোও এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
ইঁদুর নিধনের জন্য নির্দিষ্ট সময় ও পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি,যেমন ফসলের থোর আসার আগে মাঠে বিষটোপ ব্যবহার করা। ইঁদুর নিধন পদ্ধতি রাসায়নিক পদ্ধতি:
রডেন্টিসাইড বা ইঁদুরের বিষ: বাজারে দুই ধরনের বিষ পাওয়া যায়, যেমন জিংক ফসফাইড যা দ্রুত ইঁদুরকে মেরে ফেলে। এই বিষটোপ ইঁদুরের গর্তে বা চলাচলের পথে ব্যবহার করা হয়। আঠা: ইঁদুর ধরার জন্য গুদামে বা ঘরে কাঠের বোর্ডে,মোটা কাগজে বা টিনে আঠা লাগিয়ে ইঁদুরের চলাচলের রাস্তায় ব্যবহার করা হয়। যান্ত্রিক পদ্ধতি: ফাঁদ ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে ইঁদুর ধরা যায়। গর্তে পানি-জল ও ধোঁয়া: ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে বের করে পিটিয়ে বা গর্তে জল ঢেলে ইঁদুরকে মারা যায়। গর্তে মরিচ পোড়ার ধোঁয়া: ইঁদুরের গর্তে মরিচ পোড়ার ধোঁয়া দিয়ে তাদের বের করে মারা যায়। করণীয়: সঠিক সময়: ফসলের থোর আসার আগে মাঠে ইঁদুর নিধনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, কারণ এসময় ইঁদুরের খাবার কম থাকে এবং তারা বিষটোপ সহজে খায়। প্রবেশপথ বন্ধ করা:
ঘরবাড়িতে ইঁদুর প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য গর্ত,ফাটল এবং ফাঁক সিমেন্ট বা স্টিলের উল দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। সতর্কতা:ইঁদুরের বিষ বা রডেন্টিসাইড ব্যবহারের সময় সঠিক পদ্ধতি জানা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত,কারণ এটি অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ শিবপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
Leave a Reply