নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শালিকার সাথে শারিরিক মেলামেশায় ধরা পড়ে মারপিটের স্বীকার হয়ে দুলা ভাইয়ের মৃত্যু:
থানা পুলিশের কাছে আটক-৪ ।
উল্লেখ্য যে,
মেলামেশার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে চরম মারপিটের স্বীকার হয়ে মাফিজুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। উপজেলার নিভৃত পল্লী মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকার পলিপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ নির্যাতনের সাথে সরাসরি জড়িত নিহতের ভায়রা রইচ উদ্দিন বকুল, এছাড়াও নিহত মাফিজুলের ছেলে। স্ত্রী ও জামাইও নির্যাতনে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীগনের ভাষ্য ও ধারনকৃত ভিডিওতে এ খবরটি’র সত্যতা ও
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,মাফিজুল ইসলাম গত কয়েক বছর যাবত তার আপন ভায়রা রইচ উদ্দিন বকুলের স্ত্রী ফেন্সিয়ারা বেগমের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত শারিরিক যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা দুজন অসংখ্যবার স্থানীয় লোকদের হাতে ধরা পড়ে সামাজিক বিচারের মুখোমুখিও হন। মাফিজুল ইসলাম এসব ঘটনায় মামলার আসামী হয়ে জেল হাজত কাটিয়েছেন। এই ব্যক্তির চারিত্রিক ত্রুটির কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা বলে এলাকাবাসী
জানায়। এ ঘটনার ধারাবহিকতায় আবারও সে তার শালিকার ঘরে প্রবেশ করে শারিরিকভাবে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। এ সময় রইচ উদ্দিন বকুল প্রতিবেশী লোকজন নিয়ে তার স্ত্রী ও ভায়রা মাফিজুলকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান। এমন কুৎসিত দৃশ্য দেখে রইচ উদ্দিন বকুল নিজেকে সামলাতে না পেরে মাফিজুলের হাত ও পা বেঁধে লঠি দিয়ে বেধম প্রহার করে। এ সময় নিহত মাফিজুলের স্ত্রী, ছেলে ও জামাইও তার উপর নির্যাতন চালায়। মাফিজুল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে,
ঘটনাকে আড়াল করতে রইচ উদ্দিন বকুল তার স্ত্রী ফেন্সিয়ারা বেগম ও রাশেল ইসলাম মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে নিহত মাফিজুল ইসলাম তাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে মর্মে সাধারন ডায়েরী করতে চাইলে তাদের উপর পুলিশের সন্দেহ হয়। ওই সময়েই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল মাফিজুলের মৃত্যুর সংবাদ পেলে সাধারন ডায়েরী করতে আসা তিন ব্যক্তিকে আটক করে পার্বতীপুর মডেল থানায় প্রেরণ করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মধ্যপাড়া পুলিশ তাহাজুল ইসলাম নামের এক খনি শ্রমিককেও আটক করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন। এব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি- আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়- নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ-৪ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে তিনি বলেছেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে
গত মঙ্গলবার
দিবাগত রাত ১.৪৫মি:।
Leave a Reply