
মালিকুজ্জামান কাকাঃ যশোরের শিল্প শহর নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক নেতা ও ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান জনির স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার ১২ আগস্ট প্রেসক্লাব যশোরে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনির বোন মানি জারমিন ইলোরা।
বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে জনি ও নওয়াপাড়ার সুনামধন্য ব্যক্তিদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ‘ব্যবসায়ীকে বুক সমান বালুতে পুঁতে নির্যাতন ও ৪ কোটি টাকা আদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, তার বৃদ্ধ বাবা কামরুজ্জামান মজুমদারকে নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। এমনকি বৃদ্ধ বয়সে তাকে জেল খাটতে হচ্ছে। এছাড়া তার ভাইয়ের সাথে নওয়াপাড়ার সাংবাদিক মফিজুর রহমান, সম্রাট হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে অহেতুক ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
তিনি জানান, এসব সংবাদের উৎস ছিলেন জাফরিদি এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহনেওয়াজ কবীর টিপুর স্ত্রী আসমা বেগম। শাহ নেওয়াজ কবীর টিপু একজন চিহ্নিত প্রতারক। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৭০ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গম সরবরাহের নামে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ তথ্য সার ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সমিতির একটি বৈঠকে উঠে এসেছে। ওইসব ব্যবসায়ী সমিতিতে অভিযোগ দেন।
এছাড়াও নওয়াপাড়ায় স্থানীয় ৩১ জন ব্যবসায়ীর ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে টিপুর কাছে। এরবাইরেও নাবিল গ্রুপও ১২৫ কোটি টাকা পাবে টিপুর কাছে। তারা সকলেই ব্যবসায়ী সমিতির সহযোগিতা চেয়েছেন। একই ভাবে টিপুর টাকা নিয়ে জনির কাছে গম ডেলিভারি দেয়া বন্ধ করে দেয়। টাকা নিয়ে গম না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। জনির ব্যবসা স্থবির হয়ে পরে। এরমাঝে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় চার কোটি টাকা আদায়ে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।
মানি জারমিন ইলোরা আরও বলেন, জনি ও টিপুর মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন থাকলেও কোনো অপহরণ, জোরপূর্বক টাকা আদায় বা বালুতে পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেনি। বরং দেনা পরিশোধে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও টিপু মিথ্যা নাটক সাজিয়ে জনি ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান হয়, যে স্থানে নওয়াপাড়া কণা ইকোপার্ক যেখানে কথিত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে, তা জনির পিতার মালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত। সেখানে এমন ঘটনা ঘটার প্রশ্নই নেই। এছাড়া সার সমিতির বৈঠকের রেজুলেশন, টিপুর স্বাক্ষরিত পাওনার স্বীকারোক্তি এবং ব্যাংক লেনদেনের নথি প্রদর্শন করা হয়।
ব্যাবসায়ী আসাদুজ্জামান জনি দীর্ঘদিন ধরে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সক্রিয় নেতা। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তার রাজনৈতিক উত্থান রুখতে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জনির স্ত্রী সোনিয়া জামান ও মা রেহানা জামান।
আরও খবর: হিলিতে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন
Leave a Reply