মালিকুজ্জামান কাকাঃ স্বাধীন বাংলাদেশে যশোর ২ আসনে মাত্র একবারই বিএনপি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তাও মাত্র ছয়মাস। ।
জামায়াত করেছে দুই বার। অর্থাৎ এখানে সার্বিক জামায়াত এগিয়ে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজত, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এমপি প্রার্থীদের নাম পাওয়া যায়নি।
যশোর-২ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি যশোর জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ৮৬ নং আসন। মোট ভোটার ৪,৫৬,৭০৮ (ডিসেম্বর ২০২৩)। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার: ২,২৯,৪৩১ জন ও নারী ভোটার: ২,২৭,২৭৭ জন। হিজড়া ভোটার: ০। ভারত সংলগ্ন ভৌগোলিক অবস্থান এ কারণে এই দুই উপজেলা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক সহ নানা অপকর্মে জর্জরিত।
ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত যশোর-২ আসন। এই আসনে বিএনপির চার নেতা ধানের শীষ প্রতীক ক্যাম্পেইনে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এরা হলেন- ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক।
যশোর-২ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ। যশোরের সাদা মনের মানুষ শিক্ষাবীদ প্রফেসর শরীফ উদ্দীনের বড় ছেলে ডাঃ ফরিদ। তার প্রার্থীতা নিয়ে জামায়াতের মতবিনিময় হয় ২০২৫ সালের ২ মার্চ।
এখানে বলা প্রয়োজন চৌগাছা উপজেলা অবহেলিত জনপদ হিসাবে বিবেচিত। ভোটের আগে প্রার্থীরা বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে বিজয়ী হয়ে এমপি ভুলে যান চৌগাছার কথা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদের মতবিনিময় সভাটি জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে জেলা ও ঝিকরগাছা -চৌগাছা উপজেলার নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে হয়।
ঐ মতবিনিময় সভায় জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, গোলাম কুদ্দুস, ঝিকরগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল আলীম ও চৌগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা গোলাম মোর্শেদ।
১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নূরে আলম সিদ্দিকী প্রথম এমপি নির্বাচিত হন যশোর-২ আসন এলাকায়। ১৯৭৯ সালে ইসলামী ডেমোক্রটিক লীগের নুরুন্নবি ছামদানি দ্বিতীয় এমপি, ১৯৮৬ সালে জামায়াতের মকবুল হোসেন, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির মীর শাহাদাতুর রহমান, ১৯৯১ সালে আওয়ামীলীগের রফিকুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী বিএনপির কাজী মনিরুল হুদা, জুনে আওয়ামীলীগের রফিকুল ইসলাম আবারো এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে জামায়াতের আবু সাঈদ মুহাম্মদ সাহাদত হুসাইন, ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, ২০১৪ সালে মনিরুল ইসলাম, ২০১৮ সালে নাসির উদ্দীন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামীলীগের ডাঃ মোঃ তৌহিদুজ্জামান এম পি নির্বাচিত হন। জুলাই সরকার পতনের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হয়।
ত্রয়দশ সংসদ নিয়ে সারা দেশে জনগণের তীব্র আকাঙ্খা। কেননা দীর্ঘ ১৭ বছর ভোটারের বড় একটি অংশ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। তাদের মনে সেই ক্ষোভ ১৬ আনা রয়েছে। এবার সুষ্ঠ, নিরাপদ পরিবেশে ভোটার ভোট দিতে পারবে এই আসায় চৌগাছা-ঝিকরগাছাবাসী দারুণ আশাবাদী।
আরও পড়ুনঃ বকশীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও হিরোইনসহ গ্রাম পুলিশ আটক
Leave a Reply