গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডলঃ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গনসহ বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি এবং সেই সাথে হুমকির মুখে নদী ভাঙ্গন এলাকার জনসাধারণ। এর ধারাবাহিকতায় প্রকাশ থাকে যে,গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ বাঙালি নদীতে দিনে-রাতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে ভাংছে নদী ,বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তাঘাট ও ব্রীজ ও জনসাধারণ। ঐ ইউনিয়নের মধ্যে কুমিড়াডাঙ্গা,পান্তামারি, বামনহাজরার মজিদের ঘাট ব্রীজ ও দেওয়ানতলা ব্রীজের দুই ধারে অন্তত ১৩টি পয়েন্টে স্যালো মেশিন ও ড্রেজার দিয়ে স্থানীয় চিহ্নিত বালু দস্যূরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফসলি জমি।ট্রাক্টর ও ট্রলি দিয়ে অবাদে বালু আনা নেয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুঘর্টনা।
ক্ষতিগ্রস্থরা স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী তহশীলদের কাছে অভিযোগ করেও পাচ্ছেন না প্রতিকার।
স্থানীয়রা বলেন বালু উত্তোলন করায়,সে কৌশল করে,উপরের কর্মকর্তাদের ভূল ভাল বুঝিয়ে বলেন এ পয়েন্ট গুলি সাঘাটার মধ্যে পড়েছে বলে চালিয়ে দেন।
এবিষয়ে মহিগঞ্জ ইউনিয়নের তহশিলদার সাংবাদিকদের বলেন,আমরা যখন যাই তখন তারা বলে,এগুলি সাঘাটার মধ্যে চলছে। এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জের রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর বাজারের পশ্চিম পাশ্বে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এদের সাথে কথা বললে তারা জানায় আমরা এই এলাকার এএসপি সাহেবকে বালু দিবো।তারা আরো বলেন,২০ দিনে জন্য থানা থেকে হুকুম নিয়ে বালু উত্তোলন করছি।উপজেলার এসি ল্যান্ড (ভূমি কর্মকর্তা) কর্মকর্তাকেও বিষয়টি অবগত করিয়াছি। ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমির হস্তক্ষেপে সাপমারার চক রহিমাপুর,ফুলবাড়ী কাটাখালি ও তালুকানুপুর ও কাটাবাড়ী এলাকায় ৩টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হওয়ায় বন্ধ ওইসব এলাকায় বন্ধ হয়েছে বালু উত্তোলন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন,অবৈধ ভাবে বালু উত্তেলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply