
মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সময় মতো রেজিষ্টার না বসার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে রেজিস্ট্রি কাজ করতে এসে অনেকেই ঘুরে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে এসব অফিসে। ঘুষ ছাড়া সম্পাদন করা হচ্ছে না দলিল। এদিকে জেলা রেজিষ্ট্রার বলছেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
যানা যায়,ঠাকুরগাঁও জেলা মোট ৬টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে। আর এসব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষেরা আসেন সেবা নিতে। তবে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের। সদর রেজিস্ট্রি অফিস,পীরগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিস ও হরিপুর রেজিস্ট্রি অফিসে খেয়াল খুশি মতো করে অফিসে আসেন রেজিস্ট্রাররা। অনেকে অফিসে আবার ছুটি ছাড়াই দিনের পর দিন অফিসের ছুটি কাটান। যার ফলে এসব অফিসে সেবা নিতে এসে ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন ভুক্তভোগীরা। ঠাকুরগাঁও সদর ও পীরগঞ্জ মিলে সাব রেজিস্ট্রারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন ইবনে আবরার রহমান,আর সাব রেজিস্ট্রারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন মনিষা রায়। তাদের দুই জনের বিরুদ্ধেই রয়েছেন সঠিক সময়ে অফিস না করার অভিযোগ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিনের পর দিন এসব অফিসে এসেও সেবা পাচ্ছেন না তারা। অফিসে সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় প্রয়োজনীয় কাজ না করতে পেরে এক ভোগান্তির মধ্যে পতিত হন সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা। এছাড়াও এসব অফিসে অর্থের বিনিময়ে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ওই দুই রেজিস্ট্রারদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলেন আমরা অফিস করি কেউ না দেখলে সেটা তাদের বিষয়। যদিও এই দুই সাবরেস্ট্রিারদের বিরুদ্ধে এর আগেও অর্থ লেনদেনের লিখিত অভিযোগও রয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
সেবা নিতে আসা মানুষ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন নিয়মিত, সেই সাথে সরকারি রাজস্ব খাতে এর বিরাট প্রভাব পড়বে বলেও মনে করেন সেবা নিতে আসা সচেতন ব্যক্তিরা।
জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন বলেন,পীরগঞ্জ আর সদর মিলে যে রেজিস্ট্রার( আবরার) আছেন তাকে একাধিকবার বলেছি সে শোনেনি। আমি তার বিষয়ে উপরে অভিযোগ করেছি। এছাড়া হরিপুর বিষয়টি আমার অবগত নাই। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন কুড়িগ্রামে ভটভটি খাদে পড়ে চালক নিহত
Leave a Reply