নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেখ হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু বিএনপি কখনো পালাইনি ! পলাবেনা । কারণ জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে, বিএনপি জনগণকে ভালোবাসে। তাই আগামী দিনে বিএনপি জনগণের দায়িত্ব নিতে চাই ।
দেওয়ানগঞ্জের হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাতের পক্ষে স্থানীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন ও ভোট চেয়ে এমনটাই বলেন জনসভার প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন।
তিনি আরো বলেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে শ্রমজীবি মানুষ ন্যায্য শ্রমের মূল্য পাবে, ভোক্তা তার সঠিক প্রাপ্য পাবে, বেকাররা চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত ভাতা পাবে, প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে ।
কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগনের দিকে না তাকিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের ১৫ বছরের শাসনামলে গুম, খুন, হত্যা, গায়েবি মামলা দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীদের নির্যাতনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও বাকরুদ্ধ করে রেখেছিল। কেড়ে নিয়েছিল বাঙ্গালীর ভোটাধিকার। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে গণতন্ত্র। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে সেই হারানো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি ।
জন সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সম্পদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ময়মনসিং বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেজ আলী মামুন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র নেতা আব্দুর রশিদ সাদা, বাবু শ্যামল চন্দ্র, আতিকুর রহমান সাজু, মাসুদ হাবিব পলিন,কৃষিবিদ শাহ মোহাম্মদ মনিরুর রহমান মনির, ব্যারিস্টার শাহাদাত বিন জামান শোভন সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা বকশীগঞ্জের হাজারো নেতা কর্মীর উপস্থিতি দেখা যায় ।
এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত সহ বিশেষ অতিথিরা বক্তব্যকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সুশৃংখলভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান করে বলেন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না। সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ বিএনপি একটি পরীক্ষিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছে ।
এসময় নেতারা অন্তবর্তী কালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে স্বল্ট সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে করে অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করেন। যাতে বাংলার মানুষ একটি ভোটের সরকার পায়।
Leave a Reply