
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার লংকারচরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ অক্টোবর দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় আহত হয়ে হযরত আলী পক্ষের আসমান আলী ও তার ছেলে ময়চান আলী মুমূর্ষু অবস্থায় বিছানায় শয্যাশায়ী। যেকোনো মুহূর্তে মারা যাওয়ার শঙ্কা স্বজনদের। প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন গ্রুপ প্রভাবশালী বিধায় প্রশাসনিক সহযোগিতা পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। এমনটাই অভিযোগ হযরত আলী পক্ষের লোকজনের।
সরজমিন দেখা যায়, আসমান আলী ও ছেলে ময়চান আলী ছোট্ট একটি ঘরে বিছানায় শুয়ে আছে। তারা নড়াচড়া করতে পারছেন না কোনোভাবেই। আসমান আলী ইশারায় কারো কথায় সাড়া দিলেও ময়চান আলী তাও পারছে না। দু’জনেই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত। অর্থের অভাবে মিলছে না সুচিকিৎসা।
অপরদিকে হযরত আলী পক্ষের রনজু মিয়ার মেয়ে রেনুকে স্কুলে যাওয়ার পথে বাঁধা দেয় প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন গ্রুপের লোকজন। তাকে অশালীন কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করে তারা। রেনুর ঘটনার জেরে গত ২৫ অক্টোবর লংকারচর দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তায় ঘটে মারামারির ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেলোয়ার হোসেন পক্ষের জিহাদ ও জাহিদ মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী সড়কে অবস্থান করছিল।
ওইসময় অপর পক্ষের কয়েকজন যুবক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাহিদের অভিভাবক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দু’পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার দিন মীমাংসার প্রকিয়া চলছিল। তবে দেলোয়ার গ্রুপের লোকজন তা মানেননি।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ অক্টোবর লংকারচরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রকিয়া চলমান।
আরও খবর: টুরিস্ট পুলিশ গাজীপুর জোনের অভিযানে সাত মামলার আসামি রুবেল গ্রেপ্তার; মোবাইল উদ্ধার
Leave a Reply