
গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডলঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল নেত্রী প্রিসিলা মুরমুর সংগ্রামী ভূমিকার জন্য মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।
তার অকাল মৃত্যুতে আজ শনিবার দুপুরে রাজাবিরাট সাঁওতাল পল্লীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। গোবিন্দগঞ্জ রাজাবিরাটের মানঝি পরিষদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
স্মরণসভার শুরুতেই প্রয়াত প্রিসিলা মুরমুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মানঝি পরিষদের সভাপতি বৃটিশ সরেনের সভাপতিত্বে শোক সভায় আলোচনা করেন প্রিসিলার স্বামী শফিকুল ইসলাম, বাবা লুকাস মুরমু, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডাঃ ফিলিমন বাসকে, আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সাইদা, আদিবাসী নেত্রী অঞ্জলি মুরমু, শ্যামবালা হেমব্রম, থমাস হেমব্রম, মাইকেল মুরমু, সাহেব মুরমু, মিন্টন মার্ডি, শ্যামলী টুডু, জয়ন্ত হাসদা, মোর্শেদ হাসান দীপন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কিছু মানুষ চলে যায়, কিন্তু তাদের ছায়া রয়ে যায় মানুষের হৃদয়ে। তেমনি প্রিসিলা মুরমুও জীবনের প্রতিটি ধাপে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছেন, লড়েছেন আদিবাসীদের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, সাঁওতালদের মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকারের জন্য ও দাঁড়িছেন মর্যাদার জন্য। তিনি মানুষের হৃদয়ে চিরদিন থাকবেন।
বক্তারা আরও বলেন, আন্দোলনের নিবেদিত প্রাণ, আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, আদিবাসীদের ভূমি রক্ষার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী প্রিসিলার মৃত্যুতে আদিবাসী জনগোষ্ঠী একজন সক্রিয় নেত্রীকে হারিয়েছে। তাঁর চিন্তা ও কাজ সবার কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
তারা বলেন, জাতি আত্মত্যাগী একজন আদিবাসী নেত্রীকে হারাল। সারাজীবন লড়াই করেছেন সাঁওতাল জনগণের মুক্তির জন্য। তিনি ছিলেন নির্লোভ ব্যক্তির জীবন্ত প্রতীক। তিনি ক্রমেই আদিবাসীদের সাহস ও সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
উল্লেখ্য, সাঁওতাল নেত্রী প্রিসিলা মুরমু গত ১৫ অক্টোবর বুধবার মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।সংগ্রামী ভূমিকার জন্য প্রিসিলা মুরমু
মানুষের হৃদয়ে চিরদিন থাকবেন।
আরও পড়ুন ঝালকাঠির বিনয়কাঠি বাজারে এ্যাডঃ শাহাদাৎ হোসেনের গন সংযোগ
Leave a Reply