নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাকেরগঞ্জে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি লাখো মানুষের ভরসা খেয়া নৌকা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই উনিয়নের ডিসি রোড কারখানা নদীর খেয়া ঘাটে প্রতিদিন হাজারো মানুষ নদী পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ও দুর্গাপাশা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের কালিশুরি,ধুলিয়া, কেশবপুর,সূর্যমনি, নূরাইনপুর, কনকদিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বরিশাল জেলা শহরে-বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই ডিসি রোড খেয়াঘাট।
প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে এই নদী পাড়ি দিয়েই চলাচল করতে হয়। এই এলাকার মানুষের দাবি নদীর এই খেয়া ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সুফল পায়নি।
তাই যুগের পর যুগ ধরে বাধ্য হয়েই খেয়া নৌকায় করে মানুষদের নদী পারাপার হতে হচ্ছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি নিরসনের জন্য খেয়া ঘাটে একটি ফেরি দেওয়ার দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রকমের আন্দোলন সমাবেশ করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পায়নি।
কবাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বাদল তালুকদার বলেন, এই একটি সেতুর জন্য দুই উপজেলার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ফরিদপুর ও দুর্গাপাশা ইউনিয়ন সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলে প্রায় ৫০ গ্রামের লাখো মানুষ এখন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,কেউ যদি রাতের বেলা অসুস্থ হয় তাহলে তাকে মেডিক্যালে নেওয়া সম্ভব হয় না। অনেক সময় রোগী পথের মধ্যেই মারা যায়।
কারণ তখন খেয়াঘাটে নৌকা থাকে না। এ ছাড়াও খেয়া পারাপারে ইজারাদারকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কত সরকার গেল আর আসলো কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি এই অঞ্চলের মানুষের। জানা গেছে, ইউনিয়নের ডিসি রোড কারখানা নদীতে ভাটা থাকায় দুপুর থেকে শেষ বিকেল অব্দি প্রায় ৪ ঘণ্টা জোয়ারের অপেক্ষায় থাকতে হয় পারাপারের জন্য। এরপর প্রায় আধা কিলোমিটার কাদামাটির চরের মধ্য দিয়ে হেঁটে মোটরসাইকেল ট্রলারে উঠাতে হয়।
এরকম ঘটনা বাকেরগঞ্জ ডিসি রোড খেয়াঘাটের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কম থাকায় চরের মধ্যকার খালটি শুকিয়ে যায়,প্রায় আধা কিলোমিটার কাদামাটির চর পেরিয়েও অনেক সময় রক্ষা হয় না। ডুবোচর থাকায় হাঁটু সমান পানির মধ্যেই ট্রলারে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের।
গত কয়েক বছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চরের মধ্য দিয়ে নদীর পাড় পর্যন্ত মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করলেও বর্ষা মৌসুমে তা আবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত বছর যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি এখন আর নেই। যে কারণে এই বছর আরও দুর্ভোগ বেশি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে এই এলাকার স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিদিন এই খেয়া পারাপার হয়ে জেলা ও উপজেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয়।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হাসনাইন আহমেদ বলেন,ডিসি রোড খেয়া ঘাটে সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হবে।
আমরা অতীতেও চেষ্টা করেছি জাইকা সংস্থা ও এলজিইডি থেকে বরাদ্দ নিয়ে সেতুটি নির্মাণের-এখনো চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বারোমারীতে ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার তীর্থ উৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.