নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সুবর্ণচরে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করে চলেছে উপজেলার চরজুবিলী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র মনির হোসেন নামের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি। অব্যাহত বালূ ও মাটি উত্তলনের কারণে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়, রাস্তা ঘাট নষ্ট, ভূগর্ভস্থ পানি ও বায়ুদূষণ, প্রাকৃতিক ভূচিত্র নষ্ট করছে।
এসব নেতিবাচক প্রভাবের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। বালু উত্তোলনে সৃষ্ট বায়ুদূষণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের মধ্যে পরিবর্তন ঘটার ফলে তাদের আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হচ্ছে। তেমনি তাদের খাদ্যের উৎসও ধ্বংস হচ্ছে। ফলে মৎস্য প্রজনন-প্রক্রিয়া পাল্টে যাওয়ার পাশাপাশি চাষাবাদের জমিও নষ্ট হচ্ছে, বাড়ি ও বসতঘর হুমকির মুখে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বালু ব্যবসায়ী মনিরের প্রভাবের কারণে তারা এই অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধ করতে পারছে না। বালুর গাড়ির শব্দে সারারাত ঘুমাতে পারে এলাকাবাসী,স্থানীয় প্রশাসন মাঝে-মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে দিলেও বালু উত্তোলন থামছে না।
কয়েকদিন পরেই আবার নতুনভাবে শুরু হচ্ছে। আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বালু উত্তোলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বালু ব্যবসায়ীরা আইনকে অমান্য করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় আবাদী জমি, ব্রিজ ও রাস্তা বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জেলার সুবর্ণচরের পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামে জনবসতি এলাকায় দেশের আইন আদালতের প্রতি কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে একের পর এক বালু তোলার দায়ে বালু তোলা মেশিনের মেস্ত্রী তাজুল ইসলামের ৩ মাস জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
২০ অক্টোবর সোমবার, সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মাসহ সঙ্গীয় আদালতের লোকজন ঘটনাস্থল হতে বালু তোলার মেশিনসহ তাকে আটক করে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর উপিস্থিতি টের পেয়ে হেদায়েত ও আক্তার হোসেন বাবুল পালিয়ে যায়।
জানা যায়, পশ্চিম চরজুবিলীতে হেদায়েত ও আক্তার হোসেন বাবুল দীর্ঘদিন ধরে একটি সরকারী জনচলাচলের রাস্তার পাশের জমি হতে বালু তুলে আসছে। বালু ব্যাবসায়ী মনিরের কাছে বিক্রি করে, আশ-পাশের বসতিগুলোর সর্বনাশ করে তুলছেন তারা। এতে ভুমি ধ্বসের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় চরম আতঙ্কিত হয়ে ওঠছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় রইচ ভুঁঞা বাড়ি, মায়ার বাড়ি ও বলি বাড়ির লোকজন জানান, গত দু’মাস ধরে এভাবে বালু তোলার কারণে পুরো জমিটি একটি বিশাল গভীর দিঘীতে পরিণত হয়েছে। একইভবে সরকারী রাস্তাটিও জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.