
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে পরিচিত নাম স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ, দুর্নীতি, ভয়ভীতি ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে নড়েচড়ে উঠেছে প্রশাসনসহ ব্যবসায়ী মহল।
একাধিক অভিযোগে বলা হয়েছে, আতিকুর রহমান বছরের পর বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে সরকারি সুবিধা আদায় করেছেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
সূত্র জানায়, জুলাই–অগাস্ট আন্দোলনের সময় আতিকুর রহমান আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই রাজনৈতিক আশ্রয়েই তিনি সরকারি প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার, বিল আদায় ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আতিকুর রহমান বিভিন্ন থানার ওসিদের ব্যবহার করে ভয়ভীতি সৃষ্টি এবং বিরোধীদের দমন করেছেন। এমনকি একাধিকবার অভিযোগকারীদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মান্নান, সেলিম ও সালাম অল্প সময়ের মধ্যেই শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব সম্পদের উৎস আতিকুর রহমানের অনিয়মিত অর্থ। তারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সরকারি কাজের ঘুষের বড় অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
সূত্র মতে, আতিকুর রহমান অবৈধভাবে জমি ক্রয় করে জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ঘুষের মাধ্যমে সুবিধা নিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় দুই মেয়ের নামে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন। এছাড়া, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের তৎকালীন পিএস মো. মোশারফের সহায়তায় তিনি বহু অবৈধ কাজ সম্পন্ন করেন।
এনএসআই অফিসে তার প্রায় ৪০ কোটি টাকার বিল অনিয়মের কারণে আটকে আছে বলেও জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আতিকুর রহমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ছত্রছায়ায় ক্ষমতা, অর্থ ও প্রভাবের এক অদৃশ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন। ব্যবসা, প্রশাসন ও রাজনীতি—সব ক্ষেত্রেই তার প্রভাব এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
দেশের সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল দাবি করেছে, আতিকুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করা হোক, যাতে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির এই চক্রের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পায়।
আরও পড়ুনঃ সত্যান্বেষণই সাংবাদিকতার হউক মহান ব্রত
Leave a Reply