যশোর রিপোর্ট
একদা যে যশোর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং খুলনা ৪৬২) সাধারণ শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিল আদর্শ উদাহরণ। সেই আদর্শে সাজিয়ে ছিলেন জনপ্রিয় প্রয়াত শ্রমিক নেতা শুকুর আলী।
তার মৃত্যুর পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে শ্রমিকের ন্যায় অধিকার রক্ষা না করে কালো আইন তৈরি করে ইউনিয়ন কে পকেটস্থ করার ব্যাক্তি স্বার্থে লিপ্ত হয়েছে পরবর্তী কমিটি গুলো। এর পর দুই দফা ভোট হয়েছে তবু সেই আইনটি আর ঐ একই কারণে পরিবর্তন করা হয়নি।
বছরের পর বছর ধরে জেঁকে বসা কালো আইন সবার স্বার্থে চিরতরে দূর করার মিশন নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর ড্রাইভার। যশোর শহরের রায় পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলী। পিতা দেশের জন্য যুদ্ধ করে হয়েছেন জাতীয় বীর আর ছেলে সাধারণ শ্রমিকের জন্য নিবেদিত প্রাণ এক নেতা।
সাধারণ শ্রমিকের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার এক মানবিক নেতা জাহাঙ্গীর ড্রাইভার। তবে টাকার কাছে তিনি এবারো হেরে গেলেন। আর তাই কালো আইন এবারো বহাল থেকে গেলো।
লেবার কোর্ট, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিশেষ বাহিনী সব জায়গায় তিনি দৌড়ালেন। কিন্ত অর্থ না থাকায় তাকে থেমে যেতে হলো মাঝ পথে।
আর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি তার মনোনয়ন গ্রহণই করলেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন ঔ আইন না পরিবর্তন পর্যন্ত এই ধারার মনোনয়ন নেওয়া সম্ভব না।
কাল আইন। যে আইনটি শ্রমিক সাধারণ সদস্যদের বাঁধা, ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলে তৈরি করা, সেই আইন কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে না তা অনেকেরই বোধ গম্য হচ্ছে না। তবে জাহাঙ্গীর ড্রাইভার বিশ্বাস করেন দাবি যখন উঠেছে আজ হোক বা কাল ঐ আইন পরিবর্তন করতেই হবে। আজ হয়তো কম সদস্য পরিবর্তন চান কিন্ত এমন একদিন আসবে সেদিন সাধারণ শ্রমিকরা তার সাথে হাত মেলাবে।
আর তখন দুর্বার প্রবল শক্তির কাছে হেরে যাবে ক্ষমতা। সেটা পরম বিশ্বাস করেন জাহাঙ্গীর ড্রাইভার। গরীব সাধারণ, নিস্পেসিত শ্রমিক সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে ঐ ঘুনে ধরা কালো আইন পরিবর্তনের দুর্বার সংগ্রাম আজ এখানেই শেষ নয়। কেবল মহা প্রবল ঝড়ের যাত্রাটা শুরু হোল। জিও জাহাঙ্গীর ড্রাইভার। প্রবল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরায় ছাত্রদলের উদ্যোগে রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয়।
Leave a Reply