নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও মৌজায় জমির মালিকদের সঙ্গে নবাব ফয়জুন্নেছা ওয়াকফ এস্টেট ঘিরে দ্বন্দ্ব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। জমির বৈধ মালিকগণ একদিকে তাঁদের মালিকানা স্বীকৃতি ও ভোগদখলের সুযোগ দাবি করছেন, অন্যদিকে নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি রক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়েও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্থানীয় একাধিক জমির মালিক জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমগাঁও মৌজার বিভিন্ন জমিতে ভোগদখল করে আসছেন। তাঁদের হাতে রয়েছে সাফ কবলা দলিল, আম-মোক্তারনামা, নামজারি ও খারিজ খতিয়ানসহ মালিকানার বৈধ কাগজপত্র। নিয়মিত খাজনা প্রদান করেও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁরা নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তাদের হাতে থাকা প্রমাণ পত্র গুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
সাবেক দাগ নং: ২২২৬, ২২২৬/২৪৩৯, ২২২৬/২৪২৩, ২২২৬/২৪৩৮
হাল (বি.এস) দাগ নং: ৫৯৮৪, ৫৯৮৯, ৫৯৯৮, ১০০৭৪, ১০০৭৫
আম-মোক্তারনামা (নং ১৫৬১৬/১৫৫৮, তারিখ ২০-১০-২০১০)
সাফ কবলা (নং ১৪৯০২, তারিখ ১৬-১০-২০১০)
আম-মোক্তারনামা (নং ২০৩৫, তারিখ ২২-০২-২০১১)
সাফ কবলা (নং ৫৭৭১/৫৭৫১, তারিখ ২৮-০৪-২০১১)
সাফ কবলা (নং ১২৩৭৫, তারিখ ০৩-১০-২০১১)
সাফ কবলা (নং ৮৬৭০/৮৫৩৮, তারিখ ১৮-০৬-২০১২)
আম-মোক্তারনামা (নং ১০০১১/৯৯৭৯, তারিখ ১৬-০৭-২০১২)
সাফ কবলা (নং ১০০১৩/৯৯৮১, তারিখ ১৬-০৭-২০১২)
সাফ কবলা (নং ১০০১২/৯৯৮০, তারিখ ১৬-০৭-২০১২)
সাফ কবলা (নং ৮৩০৫/৮৩৪৪, তারিখ ০৯-১২-২০১৪)
খারিজ খতিয়ান নম্বর: ৩৭৯৮, ৩৭৯৯, ৩৯১৮, ৪৩৭৬, ৫২৫৭ ইত্যাদি (২০১৩–২০১৬ সালের মধ্যে ইস্যুকৃত)
তাঁরা অভিযোগ করেন, কিছু কুচক্রী মহলের মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য প্রদানের কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াকফ প্রশাসন তাঁদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি দাবি করে নোটিশ পাঠায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের পর যাচাই-বাছাই শেষে ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানায়, এই জমিগুলো ওয়াকফ সম্পত্তি নয় এবং নোটিশটি বাতিল করে।
তারপরও ওই কুচক্রী মহলটি, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে আসছে। সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর কৃষিকাজের জন্য আবুল কালাম বিপু সেচের মোটর স্থাপন করলে, চক্রান্তকারীদের উস্কানিতে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বাধা দেন। এ নিয়ে জমির মালিকরা ২৩ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও এখনো কোনো সমাধান পাননি বলে তাদের অভিযোগ।
অন্যদিকে নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফ এস্টেটের পক্ষ থেকেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের সম্পত্তি রক্ষার দাবি ওঠে আসছে। ওয়াকফ এস্টেটের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দাবিও উঠে আসছে।
জমির মালিকরা বলছেন, তাঁদের বৈধ মালিকানার জমি নিয়ে অযৌক্তিক জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। অন্যদিকে ওয়াকফ এস্টেট সংশ্লিষ্টরা জোর দিচ্ছেন, যাতে এস্টেটের কোনো সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল না হয়। ফলে একই সঙ্গে জমির মালিকানা ও ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার দাবি সমান্তরালভাবে সামনে এসেছে। জমির মালিকেরাও ওয়াকফ স্ট্রিট এর সম্পদ রক্ষা জন্য আন্তরিকতা প্রকাশ করছেন।
দুই পক্ষের এই সমস্যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
জমির মালিকরা তাঁদের দখলীয় জমিতে কৃষিকাজের সুযোগ চাইছেন। পাশাপাশি তাঁরা চান, নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তিও সুরক্ষিত থাকুক।
এ বিষয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছ সমাধান না হলে এলাকায় সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুুনঃ লামায় পাহাড়ি চট্টগ্রামে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর অবদান প্রশংসনীয়
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.