স্থানীয় প্রতিনিধি: আজ রোববার (৫ অক্টোবর) লাকসাম নাগরিক সমাজের ব্যানারে, বৈধ মালিকদের সম্পত্তি ভোগাদখল ও নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবুল কালাম দিপু ও শিহাব উদ্দিন আইমন।
লিখিত বক্তব্য তারা বলেন, আমরা পশ্চিমগাঁও মৌজার বৈধ মালিকগণ আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের জমি ও নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফকৃত সম্পত্তি রক্ষার বিষয়ে আপনাদের অবহিত করতে চাই।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও মৌজায় নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে ভোগদখল করে আসছি। এ জমি সংক্রান্ত আমাদের হাতে রয়েছে একাধিক সাফ কবলা দলিল, আম মোক্তারনামা দলিল, নামজারি ও খারিজ খতিয়ান, যা আইনগতভাবে আমাদের মালিকানা প্রমাণ করে।
অন্যদিকে আমরা নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফকৃত সম্পত্তি সঠিকভাবে রক্ষার চেষ্টায় সর্বদাই সচেষ্ট। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতিকারী বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং প্রশাসনের কিছু মহলকেও ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্যই আজ আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াকফ প্রশাসন আমাদের জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি দাবি করে একটি নোটিশ জারি করেছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করি। যাচাই-বাছাই শেষে ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে যে, উক্ত জমি ওয়াকফ সম্পত্তি নয়।
ফলে নোটিশটি বাতিল হয় এবং আমাদের বৈধ মালিকানা বহাল থাকে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু চক্রান্তকারী পুনরায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেছে। এর ফলস্বরূপ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আমরা আমাদের নিজস্ব জমিতে কৃষিকাজের জন্য সেচের মটর স্থাপন করলে উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা ২৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন করলেও এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব পাইনি।
তারা আরো বলেন, আমরা বারবার বলেছি, এই জমি আমাদের বৈধ দলিলমূলে ক্রয়কৃত। আমরা নিয়মিত খাজনা প্রদান করে আসছি। ওয়াকফ কর্তৃপক্ষও লিখিতভাবে আমাদের জমিকে ওয়াকফ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবুও চক্রান্তকারীরা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের বৈধ ভোগদখলে বাধা সৃষ্টি করছে।
আপনাদের আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই,
আমরা আমাদের নিজস্ব ভূমির ভোগদখল নিশ্চিত করতে চাই, সেই সঙ্গে নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফকৃত সম্পত্তির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতেও বদ্ধপরিকর।
আমাদের মূল দাবি গুলনিম্ন রুপ:
১. আমাদের বৈধ মালিকানার জমিতে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলের সুযোগ দিতে হবে।
২. আমাদের বৈধ দলিল ও খারিজ খতিয়ান অনুযায়ী প্রশাসনিক জটিলতা দ্রুত সমাধান করতে হবে।
৩. দুষ্কৃতিকারীদের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিহত করার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. নবাব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফকৃত সম্পত্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ অবৈধভাবে তা দখল বা ব্যবহার করতে না পারে।
তারা উল্লেখ করেন, আমরা আশা করি আপনারা এই সমস্যাটি গুরুত্ব সহকারে জনসম্মুখে তুলে ধরবেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আমাদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
Leave a Reply