নিজস্ব প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম তারা: কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব। দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে নির্বিঘ্নে এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে উপজেলার করাতিপাড়া এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু বোঝাই ৪টি ট্রলার আটক করেন স্থানীয়রা। পরে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর ট্রলারগুলোর বালু নদীতে ফেলে দিয়ে খালি অবস্থায় ছেড়ে দেন তারা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী প্রশাসনের নিরব সম্মতি অথবা সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু তুলে আসছে। এর ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি চরম ভাঙনের মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট।
এর প্রতিবাদে গত ৮ সেপ্টেম্বর কোদালকাটি ইউনিয়নে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কোদালকাটি ইউনিয়নের শিক্ষক ও সমাজসেবক আমিনুর রহমান মাস্টারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
আমিনুর রহমান মাস্টার বলেন,“প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন কীভাবে এই অবৈধ কাজ চলতে পারে? আমরা বহুবার আন্দোলন করেছি, তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন। এটা কি চোখে না দেখার ভান, না কি নিরব সম্মতি?”
মানববন্ধনের পর কিছুদিনের জন্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও, স্থানীয়রা জানান সম্প্রতি আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এতে তারা ক্ষুব্ধ ও চরম উদ্বিগ্ন।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি—প্রয়োজনে বালুবাহী ট্রলার নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ার মতো কঠিন পদক্ষেপ নিতে তারা বাধ্য হবেন। তবে স্থানীয় নেতারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সামাজিক ও আইনগত প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে এলাহীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এতে করে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
স্থানীয়দের দাবি: অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা
সংশ্লিষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ
নদী রক্ষা ও জনস্বার্থে নিয়মিত তদারকি ও অভিযান পরিচালনা
রাজিবপুরে নদীভাঙনের শঙ্কা এবং ফসলি জমি রক্ষায় স্থানীয়দের আহ্বান স্পষ্ট—প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুনঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিপুল ইয়াবাসহ দুই নারী গ্রেপ্তার
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.