মালিকুজ্জামান কাকা: যশোরের শার্সা বাগাচড়ায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে তেলপাম্প দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে ৩১ সেপ্টেম্বর। এক দিন পর আজ সেই অভিযুক্ত সংবাদ সম্মেলন করলেন।
সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলোচিত আনোয়ার হোসেন । তিনি বলেন, যারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা নিয়েছেন, তারাই নেপথ্যে থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চলছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। এ সময় তার ভাই জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৯৯ সালে রেজিস্ট্রিকৃত কবলা দলিলের মাধ্যমে তিনি গোলাম কিবরিয়ার কাছ থেকে ১৭ শতক জমি কিনে নেন এবং মেসার্স কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১২-১৩ সালে গোলাম কিবরিয়া আর্থিক সংকটে পড়লে আনোয়ার তার ভাই জামালের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে কিবরিয়াকে দেন এবং অঙ্গীকারনামা নেন।
এর মধ্যে ২০২২ সালের জুনে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ–সমর্থিত একটি পক্ষ ২০২৪ সালে পাম্পে হামলা চালিয়ে খুলনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। পরে মিথ্যা মামলায় তাকে আটক করা হয় এবং কিবরিয়ার মেয়ে তনিমা তাসনুমাসহ আওয়ামী লীগ–সমর্থিতরা তার তেলপাম্প দখল করে নেয় বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা আনোয়ার।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে গোলাম কিবরিয়ার ঋণের চাপের কারণে তার জমি, বাড়িসহ বিভিন্ন সম্পদ নিলামে ওঠে। এ সময় কিবরিয়ার ছোট ভাই বেনাপোলের কাগজপুকুরের ‘তনিমা ফিলিং স্টেশন’টি ১১৫ শতক জমিসহ তার ছোট ভাই জামাল হোসেনের কাছে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। বর্তমানে এর মালিক জামাল হোসেন। পরে বিস্ফোরক পরিদপ্তর খুলনা তনিমা ফিলিং স্টেশনের লাইসেন্স বাতিল করে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ‘মেসার্স আনোয়ার ফিলিং স্টেশন’ নামে নতুন লাইসেন্স দেয়, যা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। অথচ সেটিও এখন তনিমারা দখলে রেখেছেন, যেটা অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা হচ্ছে বলে দাবি করেন আনোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আনোয়ার ফিলিং স্টেশন পরিচালনার সময় কোথা থেকে তেল আনতেন তার কোনো কাগজপত্র আছে কি না। এ প্রশ্নের জবাবে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি আনোয়ার। এছাড়া আনোয়ার ও তার ভাই জামাল হোসেনের টাকার উৎস সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। বিভিন্ন প্রশ্নে তিনি অযাচিত উত্তরও দেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা এবং বিচারকের সাক্ষর জাল করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ–সমর্থিত একাধিক ব্যক্তি ও একটি প্রভাবশালী মহল এর নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের মধ্যে বেনাপোলের গোলাম মোর্শেদ সেলিম ও কামরুল অন্যতম। তিনি বলেন, তনিমার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন তিনি ।
আরও খবর:ধামরাইয়ে পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে চালক সহ নিহত ২
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.