নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ ফজলুর রহমান দিনাজপুরে কারাগার যেখানে বন্দী ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম,,
১৮৫৪ সালে ইংরেজরা প্রতিষ্ঠা করে দিনাজপুর জেলা কারাগার। সেসময় বিদ্রোহী সৈনিক ও বিপ্লবীদের বন্দী রাখা হতো এই কারাগারে। ধারণক্ষমতা ৫৫০ হলেও ২০০০ পর্যন্ত কয়েদি ছিল জেলটিতে। ২০১৭ সালে সংস্কারের পর বর্তমানে এর ধারণক্ষমতা ৩১৫৩ জন। এই কয়েদিদের মধ্যে ছিলেন দেশবরেণ্য অনেক মানুষ। তাঁদেরই একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অজিত গুহ। ৭ম শ্রেণির আনন্দপাঠ বইয়ে তাঁর’বুলু’ গল্পে তিনি লিখেছেন,পরিচ্ছন একটি বাংলো ঘর। সামনে এক ফালি উঠোন। মাঝখানে একটি বাতাবি লেবুর গাছ,ফুলে ফুলে একেবারে ছেয়ে আছে; অজস্র মৌমাছি এসে জমেছে আর ফাল্গুনের এলোমেলো বাতাসে চারিদিকে একটা মিষ্টি গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। শুনতে পেলাম, কবি কাজী নজরুল ইসলাম নাকি বন্দি হিসেবে এই জেলে বেশ কিছুদিন ছিলেন। ঐ বাতাবি লেবু গাছের নিচে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে নাকি কবি লিখতেন। ভাবা যায়! প্রতিষ্ঠার ১৭১বছর পর ২০২১সালে এখানে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয়৷ রয়েছে ৭৫ শয্যার কারা হাসপাতাল
ও। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কারাগারটিতে কয়েদিদের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আছে হরেক রকমের চাষবাসও৷ সবমিলিয়ে সত্যিই যেন নিরাপদ রেখে আলোর পথ দেখাচ্ছে এই দিনাজপুর কারাগারটি।
Leave a Reply