নিজস্ব প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম তারা: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিয়ের দাবীতে দুই সন্তানের জননীর অবস্থানকে ঘিরে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেমবর বৃহস্পতিবার উপজেলার কাঠালবাড়ি কান্দাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে, আজ ১৬ সেপ্টেমবর এ পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি ।
উপজেলার ইজলামারী গ্রামের কছিম উদ্দিনের মেয়ে রোমেছা খাতুন (দুই সন্তানের জননী) বর্তমানে রৌমারীর কাঠালবাড়ি কান্দাপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রহিম বাদশার বাড়িতে অবস্থান করছেন। রহিম বাদশা পাঁচ সন্তানের জনক।
ভুক্তভোগী রোমেছা খাতুনের অভিযোগ, প্রায় চার মাস আগে তার সঙ্গে রহিম বাদশার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রহিম একাধিকবার তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কয়েক দফা এ ঘটনা গ্রামবাসীর নজরে এলে চর শৌলমারী এলাকার এক বাড়ি থেকে দুজনকে আটকও করা হয়।
রোমেছা খাতুন বলেন—
“আমি দুই সন্তানের মা। আমার এক ছেলের বয়স ১৭ বছর, আরেকজনের বয়স ১৫। সন্তানদের ছেড়ে রহিম বাদশাকে ভালোবেসে এসেছি। এখন আর ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমি রহিম বাদশাকেই বিয়ে করবো, তা না হলে আত্মহত্যা করবো।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রহিম বাদশা সম্প্রতি আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় এবং এরপর থেকে আর যোগাযোগ করছে না। অসহায় অবস্থায় গ্রামবাসীর সহায়তায় তিনি রহিমের বাড়িতে অবস্থান নিতে বাধ্য হন। কিন্তু স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার চাইলে কয়েক দিন পার হলেও কোনো সালিশ বসেনি।
বর্তমানে রোমেছা খাতুন রহিম বাদশার বাড়িতে অবস্থান করছেন। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন—
“আমি এখন বড় অসহায়। রহিম বাদশা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই এবং তাকে বিয়ের দাবীতে এখানেই অবস্থান করছি। প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।”
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীরা বলছেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা না হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাই তারা ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও খবর: পোলাডাংগা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ চোরাকারবারী আটক
Leave a Reply