নিজস্ব প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম তারা: কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে বিয়ের দাবীতে এক সন্তানের জননী গৃহবধূর অবস্থান ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শংকরপুরপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার সিয়ালকোড় গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের মেয়ে মিতু খাতুন (এক সন্তানের জননী) রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের শংকরপুরপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে প্রেমিক লিটন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন বিয়ের দাবীতে।
মিতু খাতুন অভিযোগ করে জানান, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গে লিটন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। লিটন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে ডেকে এনে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একাধিকবার গ্রামের লোকজন টের পেলে লিটন তাকে নদীর ওপাড়ে কাশবনের ভেতরে রেখে আসতো এবং রাত হলে সেখানে গিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যেতো।
ভুক্তভোগী মিতুর অভিযোগ, বিয়ের চাপ দিলে লিটন তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় এবং এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অসহায় অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতা চান তিনি। একপর্যায়ে রাতের অন্ধকারে গ্রামবাসীর সহায়তায় নৌকাযোগে লিটনের বাড়ির পাশে নামানো হয় মিতুকে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে ৩ দিন পর বিচার চাইলে সেই দিনই চেয়ারম্যান এর বাড়িতে সালিশ বসে।
সেই সালিশে প্রায় চার শতাধিক মানুষ উপস্থিত থাকলেও লিটন মিয়া হাজির হননি, বরং পালিয়ে যান। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মিতুকে লিটনের বাড়িতে তুলে দেন।
বর্তমানে লিটনের বাড়িতে অবস্থান করছেন মিতু খাতুন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন—
“আমি এখন বড় অসহায়। লিটন আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি।”
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply