মোঃ হারুন- অর- রশিদ: ছাত্ররাজনীতির সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে নতুন করে কিছু সত্য তুলে ধরেছে। আমরা দেখেছি—অযথা উশৃঙ্খলতা, ক্ষমতার দাপট কিংবা প্রচারযন্ত্রের আধিপত্যই চূড়ান্ত বিজয় এনে দেয় না। বরং যে শক্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে, ভদ্র ও মার্জিত আচরণ করে এবং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারে—শেষ পর্যন্ত বিজয়ের মুকুট তারাই পরে।
এই ঘটনার প্রতিচ্ছবি আগামী জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় দলগুলো যতই প্রচার চালাক বা সংখ্যার দম্ভ দেখাক, সাধারণ ভোটারদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আসল বিষয়। ভোটাররা এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন, বেশি পর্যবেক্ষক। তারা শুধু প্রতিশ্রুতি শোনে না, বরং আচরণ ও বাস্তব কর্মকাণ্ডকে যাচাই করে।
যদি কোনও দল জনগণের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায়, উশৃঙ্খল বা একনায়কসুলভ আচরণ করে, তবে তার ফল হবে উল্টো। অন্যদিকে যে শক্তি ধৈর্য ধরে, ভদ্রতা বজায় রাখে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নেয়, তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যায়—ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে মানুষের এক ধরনের ক্ষোভ জমে ওঠে, যা নির্বাচনের দিন ব্যালটে রূপ নেয়। ইতিহাসও বলছে, যেসব দল ক্ষমতার দম্ভে জনগণকে অবহেলা করেছে, তাদের টিকতে হয়নি বেশি দিন।
সুতরাং, আগামীর নির্বাচনেও মূল প্রশ্ন থাকবে—কে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করতে পারল? কে শাসক নয়, সেবকের ভূমিকায় বিশ্বাসযোগ্যভাবে দাঁড়াতে পারল? ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল নয়, বরং জনআস্থা অর্জনের পথেই টিকে থাকা সম্ভব।
জনগণ ইতিমধ্যেই ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে একটি বার্তা দিয়ে দিয়েছে—অসঙ্গতি নয়, শৃঙ্খলই গ্রহণযোগ্যতার পথ। এবার জাতীয় রাজনীতির কর্ণধাররা যদি সেই বার্তাকে বুঝতে ব্যর্থ হন, তবে ভোটের বাক্সই তাদের বাস্তবতা বুঝিয়ে দেবে।
আরও পড়ুনঃ শেরপুর ও হালুয়াঘাট সীমান্তে বিপুল পরিমাণে ভারতীয় ঔষধ,মদ ও গরু আটক
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.