এম জামান: একটি ভুল ওয়ারেস কায়েম সনদ পত্র জমা দিয়ে ফায়দা ওঠানোর অপচেস্টা করছে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ার ভূমিদস্যু আবুল বাসার গঙ। ২০২৩ সালের ঐ ওয়ারেস কায়েম সনদ পত্রে দেখা যায়, মৃত অলি মোহাম্মদ কে মৃত ইদু মোহাম্মদ এর ভাই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
আর এদের পিতা মৃত নান্নু মিয়া। ওয়ারেস কায়েম সনদে আর কোন ওয়ারেসের বর্ণনা নেই। তবে এই ওয়ারেস কায়েম পৌরসভা কতৃপক্ষ প্রদানকৃত যথাযথ কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ফটোকপি সনদ বর্ণনা অনুযায়ী যশোর পৌরসভা কার্যালয় মুন্সী মেহেরুল্লাহ সড়ক, যশোর, স্থাপিত ১৯৮৪ খ্রি:, ওয়ারিশ কায়েম সনদ, স্মারক নং ১৬. ০১. ০০১. ০৯১. ২০২০. ৬২৪৯ তারিখ: ১৯/০৭/২০২৩ ইং। এই সনদ পত্রে রোকেয়া পারভীন (ডলি), মেও র প্যা নেল ২ ও নাছিমা আক্তার (জলি) এর স্বাক্ষর রয়েছে। তবে পৌরসভা কার্যালয়ে এরা না থাকায় যাচাই বাছাই সম্ভব হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাতায় একটি বিক্রয় কৃত জমি ও বাড়ি নিজেদের দাবি করে ওয়ারেস কায়েম দিয়ে ফায়দা লুটতে চায় মৃত ওয়ালী মোহাম্মদের ছেলে বৌ মেয়েরা। তবে প্রধান মদদ দাতা তাদের জামাই বরিশাল বিভাগের ঝাল কাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার মৃত সইজ উদ্দীন মাঝির ছেলে আবুল বাসার মাঝি। তিনি শশুরের হয়ে জাল ওয়ারেস সূত্রে বিক্রিত জমি নিজেদের জিম্মায় রাখতে অপ তৎপরতা চালাচ্ছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ালী বা অলি মোহাম্মদরা আপন চার ভাই ও এক বোন। এদের বাকি ওয়ারেসরা হচ্ছেন, বাবু মোহাম্মদ, নুর মোহাম্মদ, শের মোহাম্মদ। তবে বোনটির নাম জানা যায়নি। তিনি পাকিস্তানে চলে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এদের পিতার নাম ছিল কালু মিয়া। তাকে সকলে দুধ ওয়ালা কালু মিয়া নামে ডাকতেন। মহিষ খাটালের কাজ পড়তা হচ্ছিলো না বলে তা ছেড়ে আবিদ বিহারীর বরিশাল রুটের বাসে হেলপার কাজ নেয় অলি মোহাম্মদ।
এর পর বরিশাল বাস স্ট্যান্ডে হোটেল কর্মচারী আনোয়ারা কে বিয়ে করে রেলগেটে আসে। বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনিতে এর আগে তারা ছিল। এখনো বেজপাড়ায় অলি মোহাম্মদের ভাইপো ভাইঝিরা বসবাস করে।
ওয়ালী বা অলি মোহাম্মদ ইঁদু মোহাম্মদের মহিষ খাটালে কাজ করতেন। তাদের মধ্যে কর্তা চাকর সম্পর্কে র বাইরে আর কোন সম্পর্ক ছিল না। দলিল অনুযায়ী ১৯৬০ সালে দুই বন্ধু হাজী সেলিম ও ইঁদু মিয়া যশোর জেলার সদর কোতোয়ালি থানার ৭৭নং চাঁচড়া মৌজায় সাবেক ১৩৫ ও ১৩৬ দাগে ৯৭ শতক জমি ক্রয় করেন। যার ১০ শতাংশ হাজী সেলিমের এবং বাকিটা ইঁদু মোহাম্মদের। ইঁদু মোহাম্মদ ১৯৬৯ সালে নার্গিস আখতারের কাছে ২২ শতক জমি বিক্রয় করেন। তখন ইঁদু মেয়ের ছেলে ছিল লাল মোহাম্মাদ।
তাকে লোকে জেলার বলে ডাকতো। তার এক চোখ ছিল কানা। মহিষের উপর বা পিঠে বসে রেলগেট এলাকায় ঘুরে বেড়াত। তখন জিলানের বয়স ১৮ বছরের বেশি ছিল। এর পর তিনি সপরিবারে বাংলাদেশ থেকে চলে যান। ইঁদু মোহাম্মদের পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে পাকিস্তানে বদবাস করেন। ১৯৮২ সালে নুর উদ্দীন জমিটি নার্গিস আখতারের কাছ থেকে ক্রয় করেন। রেলগেট এলাকার তৎকালীন বাসিন্দারা এই তথ্য দিয়েছেন।
১৯৮৩ সালে বাটা ম্যা নেজার থাকা কালীন তিনি মারা যান। বাটা মানেজার নুর উদ্দীন মারা যাওয়ার পর রেলগেটের দুই মাতুব্বর কেফাতুল্লা ও মজিদ খান গরীব বিধায় সহমর্মী হয়ে ওয়ালী মোহাম্মদ কে বাটা ম্যনেজারের বাড়িতে মাসিক সাড়ে ৩০০ টাকা ভাড়া হিসাবে তুলে দেন। বাস্তবে এরা কেউ ইঁদু মোহাম্মদের যেমন কেউ নয়, তেমনি বিক্রি করা জমিতে ওয়ারেস কায়েম কেন প্রয়োজন তা কারো বোধগম্য নয়। তাছাড়া এই বিক্রিত জমি যার রেজিস্ট্রি দলিল ও দলিল নম্বর তথা রেজিস্ট্রেশন সঠিক আছে। কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে বাদি পক্ষের উকিল সেই মতামত দিয়েছেন।
আর কেনই বা ভুয়া ওয়ারেস কায়েম দিতে হোল যশোর পৌরসভা কতৃপক্ষ কে সেটাও কারো মাথায় আসছে না।
আরও পড়ুন শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এসডিএফ’র উদ্যোগে বিনামূল্যে সাবান বিতরণ
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.