স্টাফ রিপোর্টার মোঃমোরশেদ আলম চৌধুরী
বান্দরবান শহরের বাস স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সহজে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয় টানেলটি।
১১ কোটি টাকার টানেল: দুবছর না যেতেই চুঁইয়ে পড়ে পানি
দিনের বেলাতেও অন্ধকার থাকে এই টানেল। যে কারণে সব যানবাহনকে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
টানেলে ঢুকতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। একটা বাতিও জ্বালানো নেই। টানেল দিয়ে পার হওয়া গাড়িগুলো দিন-দুপুরেই হেডলাইট জ্বালিয়ে যেতে হয়। ওয়াল থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়ে বৃষ্টির পানিও। অথচ বাইরে ভারি বৃষ্টি নেই।
টানেলের মাঝখানে চুইয়ে পড়া পানি জমে গাড়ি চলাচলের কারণে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্তও। ভেতরে রাস্তাজুড়ে কাদামাখা পানি। বাধ্য হয়ে এই কাদামাখা পথ মাড়িয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। টানেলের বাইরে উভয়পাশেও যত্রতত্র পার্কিং করা গাড়ি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা মাত্র দুই বছর আগে কোটি কোটি টাকায় তৈরি করা গাড়ি চলাচলের একটা টানেলের রাস্তা।
বান্দরবান শহরের বাস স্টেশন থেকে নতুনভাবে করা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সহজে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই টানেলটি। টানেলের কয়েক গজের সামনেই কেন্দ্রীয় বাস টার্নিমালটি। টানেল তৈরি করার আগে দুই পাহাড়ে মাঝখানে এইটুকু পথে প্রচুর কাদামাখা ছিল। বর্ষাকালে এই রাস্তা চলাচলে প্রচণ্ড ঝুঁকিও ছিল।
দিনের বেলাতেও অন্ধকার থাকে এই টানেল। যে কারণে সব যানবাহনকে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
দিনের বেলাতেও অন্ধকার থাকে এই টানেল। যে কারণে সব যানবাহনকে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
অনেক সময় ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ হয়েও থাকত। বাস স্টেশন থেকে ট্রাফিক মোড় ঘুরে টার্মিনালে যেতে হত গাড়ি চালকদের। নির্মাণের শুরুতে এটি সংযোগ সড়ক হিসেবে ছিল। পরে দেখতে টানেল মত হওয়ায় সবার কাছে ‘বান্দরবান বাস টার্মিনাল টানেল’ নামেই পরিচিতি পায়।
টানেলটি নির্মাণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। দৈর্ঘ্য ৫০০ ফুটের কিছু বেশি। এই টানেলটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শুরু হলেও দুই দফা অর্থ বরাদ্দের পর ২০২০ সালে জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অর্থ বরাদ্ধের পর ২০২৩ সালে অক্টোবরে শেষ হয়। সে বছর ২৭ অক্টোবরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং টানেলটি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর দুই বছর না যেতেই টানেলের ওয়াল থেকে চুইয়ে পড়ছে পানি।
উদ্বোধনের সময় সাবেক এই মন্ত্রী বলছিলেন, টানেলটি পাহাড় রক্ষা, যানজট নিরসন, বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা, দূরত্ব কমানো ও পর্যটন সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
কিন্তু উদ্বোধনের পর দুই বছর না যেতেই টানেলের দেয়ালজুড়ে চুঁইয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। শুষ্ক মৌসুমেও টানেলজুড়ে ধুলোমাখা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন যানবাহন চলাচলের সময় পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচলেও আরেক ভোগান্তি। ধুলার কারণে সবাইকে নাক, মুখ চেপে যাতায়াত করতে হয় তখন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একপাশে টানেলের মুখে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা। অন্যপাশে পাহাড়ে ধসে মাটির স্তূপ। দিনের বেলা হলেও টানেলটি ভেতরে অন্ধকার থাকে। কিন্তু সেখানে কোনো বাতি জ্বালানো নেই। সব গাড়িকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। নির্মাণের পর এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষ হলেও তার কোনো ছাপ দেখা যায়নি।
মাহবুব নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালান। ভয় হয় কোনো সময় ভেঙে পড়ে কি-না। টানেল নির্মাণ করেছে দুই বছরও হয়নি। পানি চুঁইয়ে পড়ে। মাটি ভেঙে পড়ে। এইভাবে কাজ করা তাদের ঠিক হয়নি। টানেল নির্মাণ করেও দুর্দশার মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
পাভেল বড়ুয়া নামে বাস স্টেশনের এক দোকানি বলেন, “টানেলটি নির্মাণ করেছে আমাদের সুবিধার জন্য। কিন্তু তাতে আমাদের কোনো সুবিধাই হয়নি। শুধু আমাদের জনগণের টাকা অপচয় করা হয়েছে। এই অর্থ তো কারও পকেট থেকে নিয়ে করেনি। জনগণের পকেট থেকে নিয়ে জনগণের জন্য করেছে। এত টাকা দিয়ে একটা টানেল নির্মাণ করেছে।
উদ্বোধন করে দুই বছরও হয়নি পানি পড়ে। একটা লাইট জ্বলে না। মাটি ভেঙে পড়ে আছে। টানেলের ভেতর অন্ধকার। এভাবে কি মানুষ যাতায়াত করতে পারে।
“গতকাল রাত ১২টার দিকে ঘরে ফিরছিলাম। হঠাৎ টানেলের লাইট বন্ধ হয়ে যায়। তখন মোটরসাইকেলের আলো ছিল বলে ভয় পাইনি। নাহলে খুব ভয় পেতাম। আমাদের টাকা নষ্ট করে এভাবে করা ঠিক হয়নি। এটা যারা করেছে তারা হয়ত টাকাগুলো খেয়ে ফেলেছে। জনসাধারণের কোন লাভ তো হয়নি।”
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অংশে টানেলের মুখে মাটির স্তূপ দেখিয়ে হাফেজঘোনার বাসিন্দা মো. হেলাল বলেন, বেশি বৃষ্টি হলে পাহাড়ে মাটি নিচে এসে পড়লে হাঁটা যায় না। টানেলের ভেতরে এসে মাটি ভরে যায়। আগে অনেক মাটি ছিল। এগুলো গাড়িতে ভরে অল্প কিছু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু মাটি এখনও রয়ে গেছে। এখন কাদার জন্য হাঁটাও যায় না।
শ্যামলী পরিবহনের বাস চালকের সহকারী শরীফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে মাটির কারণে ইঞ্জিনে কাদা ঢুকে যায়। হঠাৎ করে ব্রেক কাজ করে না। অন্যদিকে চলে যায়। এত টাকা খরচ করে টানেলের যদি এই পরিস্থিতি হয় তাহলে জনগণের উপকারটা কোথায়?
বান্দরবান বাস স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই টানেল। তবে অনেক পর্যটক গাড়ি এখন চিম্বুক-রুমা ও থানচি যাওয়ার জন্য এই টানেল ব্যবহার করে থাকে। টানেলের প্রবেশমুখে ছোট যানবাহনকে সবসময় এভাবে পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়।
বান্দরবান বাস স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই টানেল। তবে অনেক পর্যটক গাড়ি এখন চিম্বুক-রুমা ও থানচি যাওয়ার জন্য এই টানেল ব্যবহার করে থাকে। টানেলের প্রবেশমুখে ছোট যানবাহনকে সবসময় এভাবে পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়।
টানেলে কয়েক গজের সামনে রয়েছে সাঙ্গু উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টানেলের পথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে স্কুলের কয়েকশ শিক্ষার্থীও। টানেলের কাদামাখা পথে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বর্ষা না থাকলে আবার ধুলায় ভুগতে হয়।
সেই পরিস্থিতি তুলে ধরে হাফেজঘোনার দুই বাসিন্দা মো. রায়হান বলেন, টানেল পরিষ্কার না। বাতি জ্বালানো থাকে না। সবসময় অন্ধকার। এই রাস্তা দিয়ে গেলে একটা ভয়ের আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হয়।
একই এলাকার হোসেন বলেন, টানেল আরও লম্বা হওয়ার কথা। সামনে আরও যাওয়ার কথা ছিল। অর্ধেকে এসে শেষ করেছে। যেটুকু হয়েছে সেখানেও পানি জমে গর্ত হয়ে আছে। তার মধ্যে পুরো অন্ধকার।
টানেলের ওয়াল থেকে পানি পড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত এবং কাদায় ভরা থাকে রাস্তাটি। টানেলের ওয়াল থেকে পানি পড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত এবং কাদায় ভরা থাকে রাস্তাটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই টানেল নির্মাণের কাজ পেয়েছিলেন এম এম ট্রেডার্স (মং এ মারমা) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মং এ মারমা অসুস্থ হয়ে দুবছর আগে মারা যান। এম এম ট্রের্ডাস লাইন্সেসের নামে শুরু থেকে চারজন ঠিকাদার কাজ করলেও পরে তিনজন ঠিকাদার নির্মাণের কাজ শেষ করেন বলে জানিয়েছেন রাজু বড়ুয়া নামে এক ঠিকাদার।
নির্মাণ কাজে কোনো হেরফের হয়নি দাবি করে ঠিকাদার রাজু বড়ুয়া বলেন, “এটা সংযোগ রাস্তা ছিল। প্রত্যেক বছর পাহাড়ে দুই পাশ থেকে মাটি ভেঙে পড়ে বিধায় দেয়াল করা হয়েছিল। প্রকৌশলী যেভাবে বলেছিল সেভাবে করা হয়েছে। সাঙ্গু স্কুলের পাশে (টানেলের একপাশে প্রবেশমুখ) মাটি ধসে পানি জমা হয়। সেটা অপসারণের জন্য চার ইঞ্চি করে দশ-বিশটা করে পাইপ দেওয়া ছিল। দুই-তিন বছর আগে সেটা চুরি হয়ে যায়। আমরা জানতাম না।
টানেলের ওয়াল থেকে পানি পড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত এবং কাদায় ভরা থাকে রাস্তাটি। টানেলের ওয়াল থেকে পানি পড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত এবং কাদায় ভরা থাকে রাস্তাটি।
“পরে মাটি ধসে পানি জমে যায়। সেটা অপসারণ না করার কারণে ভেতরে কাদা জমে যায়। আর দেয়ালে রড, সিমেন্ট ও ঢালাই করা হয়েছিল সেটা ফাঁক দিয়ে পানি ঢুকে। যেহেতু উভয় পাশে মাটি ধসে পানি জমে থাকে। এখনও বর্ষাকাল শেষ হয়নি। বৃষ্টি শেষ হলে এগুলো সংস্কার করা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচমং মারমা বলেন, নির্মাণের দুই বছর না যেতেই দেয়ালের ফাঁক দিয়ে পানি পড়ছে। এতে বোঝা যায়, টানেলটি অনেক টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হলেও কোনোভাবেই মানসম্মতভাবে হয়নি। নির্মাণ সামগ্রী যথাযথভাবে ব্যবহার করে নির্মাণ কৌশল যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হত তাহলে এভাবে পানি পড়তে দেখতাম না।
বেশি বৃষ্টি হলে টানেলের আরেক পাশে ধসে পড়ে মাটি। এতে প্রবেশমুখ সবসময় কাদায় ভরা থাকে। সবসময় কাদায় ভরা থাকে।
“নির্মাণকাজে যারা জড়িত ছিল এবং এগুলো তদারকি করার যাদের দায়িত্ব ছিল তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। তা নাহলে জনগণের টাকায় এত অর্থের ব্যয় করে নির্মাণ করা হল সেটা পানিতে চলে যাবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আাগামীতে যাতে এ ধরনের না ঘটে কর্তৃপক্ষ সংস্থাকেও জবাবদিহির আনা দরকার।”
যোগাযোগ করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, “এটা মূলত সংযাগ সড়ক। উপরে কাজ করার পর স্থাপনাটি টানেলের মত রূপ নেয়। পরে অনেকের কাছে টানেল হিসেবেই পরিচিতি পায়।
টানেলের কানেকশনে আরসিসি ঢালাইয়ে যে জয়েন্টগুলো আছে সেখান থেকে পানি পড়ছে। সেটিকে অনেকে না বুঝে টানেল ফেটে পানি পড়ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। আর বৃষ্টি হলে মাটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়েও পাহাড় ধসে পড়া মাটিগুলো বারবার সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। এরপর মাটি ধস রোধে জিও ব্যাগ ব্যবহার করেছি। সেগেুলোও রাতে চুরি হয়ে গেছে।
বেশি বৃষ্টি হলে টানেলের আরেক পাশে ধসে পড়ে মাটি। এতে প্রবেশমুখ সবসময় কাদায় ভরা থাকে।
“উদ্বোধনের সময় যে লাটইটগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলোও চুরি হয়ে গেছে। সেখানে মাদকাসক্তদের জায়গা পরিণত হয়ে গেছে। শুরুর দিকে পৌরসভা সংযোগের সঙ্গে আমাদের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। পরে বিদ্যুৎ বিভাগ সেটা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওখানে সোলার সিস্টেম দিয়ে দিনের বেলা আর বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাতের জন্য জ্বালানো থাকবে।
টানেলটি ৫০০ থেকে ১০-১৫ রাউন্ড স্কয়ার ফিট। ২০২১৮-২০২০ অর্থ বছরে পাঁচ কোটি এবং ২০২০-২০২৩ অর্থবছরে ছয় কোটি মিলে মোট ১১ কোটির কাজ।”
আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, “কাজ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। তবে উদ্বোধন করা হয়েছে দুই বছর আগে। এটি বান্দরবান সদর পৌরসভার কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
টানেলের টোল উত্তোলন থেকে ওনাদের কাছে একটা অংশ যাচ্ছে আর আমাদের কাছেও যাচ্ছে। কে কত পাবে সেটা নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে। আশা করছি, খুব শিগগির হাস্তান্তরের মাধ্যমে একটা সমাধান হবে।
আরও পড়ুন শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদসহ ৫ মাদককারবারি গ্রেফতার
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.