মোরশেদ আলম চৌধুরী : সময়ের সাথে ঐতিহাসিক গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে সোচ্ছার হতে হবে, 'লামা জেলা' স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
পার্বত্য তিন জেলা সীমানা নির্ধারণে চলমান ইসির শুনানি কার্যক্রম 'তিন জেলাকে ৮ জেলা করার দাবি জোরালো হোক।
এ দাবির ঐতিহাসিক যুক্তি ও ব্যাখ্যা হচ্ছে, ১৯৭৭ সালে 'লামা জেলা বোর্ড' ছিলো। ১৭ মে' ১৯৭৭ সালে 'লামা জেলা বোর্ডের একটি রেষ্ট হাউজ ছিলো। ১৯৮২ সালে লামা জেলা তথ্য অফিস ছিলো, এখনো আছে। এছাড়া ৭ নভেম্বর ১৯ ৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের ‘থানা প্রশাসন পূণর্বিন্যাস অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর অনুবলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণের ঘোষণা দেন। তার কয়েকদিন পর ৫টি মহকুমার জেলা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির রামগড় ও বান্দরবানের 'লামা জেলা' কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়; মহকুমা কার্যক্রম চলমান থাকে। সমাজ সভ্যতার পথ পরিক্রমায় সার্বিক সেক্টরে স্ব গৌরবে লামা তার লালিত ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
১৯২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর লামা থানা গঠিত হয়। ১৯৭০ সালের ৯ অক্টোবর আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশারী ও গজালিয়া নিয়ে লামা মহকুমা উন্নীত করা হয়। বর্তমানে লামা উপজেলায় ১৮টি মৌজা, একটি পৌরসভা, ৭টি ইউনিয়ন ৫০০টি পাড়া ও প্রায় হাজারটি গ্রাম রয়েছে। জেলার মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ মানুষ এই উপজেলায় বসবাস করেন। এ কারণে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় লামাকে জেলার সমকক্ষে দেখা হয়।
এরশাদ সরকার ৮০’র দশকে দেশের ৪৭ টি মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেন। ১৯৮২ ইং সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের ‘থানা প্রশাসন পূণর্বিন্যাস অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর অনুবলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণ সে সাথে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণমুখী করতে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকাকে থানায় রপান্তরিত করেন।
১৯৮১-৮২ সালে দেশের এক দশমাংশ ভু-আয়তনের পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি, রামগড়, বান্দরবান ও লামা মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেছিলেন।
এর কয়েকদিন পর কম জনসংখ্যা, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে "লামা জেলা" কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। শুধু লামা নয়, একই সময় আরো ৪টি মহকুমার জেলা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির রামগড় ও বান্দরবানের লামা মহকুমাকে ঘোষিত জেলা স্থগিত আদেশ হয়। ওই সময় থানা প্রশাসন পূণর্বিন্যাস অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর অনুবলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণ কর্মসূচীর আওতায় বান্দরবানের লামা মহকুমাধিন আলীকদম, গজালিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নকে থানা ঘোষণা করেছিলেন।
১৯৮২-৮৩ সালে শুধুমাত্র আলীকদমকে থানা হিসেবে বহাল রেখে জনসংখ্যা কম হওয়ায় লামা জেলা, গজালিয়া ও বাইশারী থানা কার্যক্রম স্থগিত করেন সরকার। বর্তমানে লামা একটি পৌরসভা, জনসংখ্যা, শিক্ষা, যোগাযোগসহ নানান সুচকে এগিয়ে আছে। সমাজ-সভ্যতার অনেক অগ্রগতিও হয়েছে।
এখনো লামা জেলার স্মৃতিচিহ্ন ও সময়ের স্বাক্ষী হয়ে আছে, লামা জেলা বোর্ড ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, জেলা তথ্য অফিস, সহকারি পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ, উপ-পরিচালক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উপসহকারি প্রকৌশলী গনপূর্ত, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর অফিস, বিভাগীয় বন কার্যালয়, ও অধিগ্রহনকৃত জেলখানার ভুমি, পুলিশ লাইন ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়-এর জন্য ভুমি, আনসার ভিডিপি ট্রেনিং সেন্টারের ভুমি।
এছাড়া একটি ৩৩/১১ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন উপকেন্দ্র, সড়ক ও জনপদের কার্যালয়। রয়েছে একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ডিগ্রি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার মোট আয়তন : ৬.৬৭৪ বর্গ কিলোমিটার, ভোটার সংখ্যা লাখের কাছাকাছি
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.