1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. aminulbahar3331@gmail.com : Md. Aminul Islam : Md. Aminul Islam
  4. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  5. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  6. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  7. r01944785689@gmail.com : Rashadul Islam Rony : Rashadul Islam Rony
  8. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কামালপুর মুক্ত দিবস গৃহশিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার বান্দরবানে ১৩ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা নড়াইলে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে অমানবিক নির্যাতনের শিকার ২ স্কুলছাত্র নাইক্ষ্যংছড়িতে স্কুল শিক্ষিকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবক আটক বকশীগঞ্জ পুলিশের উপর হামলা মাদক কারবারি লিটনসহ গ্রেপ্তার ৩ ইসলামপুরে যমুনার দুর্গম চরে প্রজাপতি ক্ষেত খাওয়াকে নিয়ে দুপক্ষের তিনদফা সংঘর্ষে আহত-১০ মোল্লাহাটে কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত সরিষাবাড়ীতে  জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত  জাহাঙ্গীর ড্রাইভার মানবিক শ্রমিক নেতা আইন পরিবর্তন আন্দোলনে থমকে দাঁড়ালেন দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরায় ছাত্রদলের উদ্যোগে রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয়।

রায়পুরা হাসপাতালে প্রসব পরবর্তী মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ডা. ফাহিমা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫০ বার পঠিত

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ নরসিংদী : নরসিংদীতে সুমা নামে এক নারী প্রসব-পরবর্তী রক্ত খরনে মুমূর্ষু অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে জীবন মৃত্যুর সন্নিকটে। তখনই চিকিৎসক ফাহিমার সাহসী পদক্ষেপে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সুমা (২৫) নামে ওই গৃহবধূকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে তোলেন। এমন মানবিক কাজে প্রশংসায় ভাসছেন।

ডা ফাহিমা শারমিন হানি রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। মঙ্গলবার রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসাধীন সুমা হাসি খুশি।
সুমা বলেন,আল্লাহর রহমতে ডাক্তার-নার্সদের কারণে আজ বেঁচে আছে। ডা ফাহিমাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

জানা যায়, বেলাব উপজেলার হোসেননগর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী সুমা গত রোববার সন্তান জন্মের পর রক্তক্ষরণে মারাত্মক সংকটে পড়েন। রক্তের পরিমাণ (Hb%) মাত্র ১-এ নেমে গেলে সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালই তাকে ভর্তি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রথমে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু অন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে তার জীবন চলে যেতে পারতো।

রোগীর স্বজনদের অনুরোধে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফাহিমা শারমিন হানি দায়িত্ব নেন। তিনি জেলা সিভিল সার্জনের পরামর্শে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. ইসমাইল আল রাজীবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও অভিজ্ঞ নার্সদের সহযোগিতায় দ্রুত চিকিৎসা দেন। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ২ ঘন্টার চেষ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই গৃহবধূ নারী।

স্থানীয়রা বলছেন, ডাক্তারদের আন্তরিকতা ও সাহসী পদক্ষেপই আবারও প্রমাণ করেছে সঠিক সেবা পেলে সরকারি হাসপাতালেও রোগীরা জীবনের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পান তারি বাস্তব উদাহরণ। সুমার শাশুড়ি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “তার অবস্থা সংকটাপন্য ছিলো। ওই সময় বৌ’মা আমার হাতে নাতনী গুলো দিয়ে বলে মা আমার কিছু হলে সন্তান গুলোকে দেখবেন। তিনটা নাতনী নিয়ে কী যে বিপদে পড়েছিলাম।

তা বলে বোঝানো যাবে না। আল্লাহর রহমতে আর ডাক্তার-নার্সদের কারণে আমার পুত্রবধূ আজ বেঁচে আছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
সুমার বাবা মুমতাজ মিয়া বলেন, “ডাক্তারদের কারণে আমার মেয়ের প্রাণ বেঁচেছে। খুদার পরেই পরেই ফেরেস্তা হয়ে ডাক্তার এসেছে। এখন সে সুস্থ আছে।”
সেচ্ছাসেবী শফিকুল ইসলাম বলেন, মানবিক ডাক্তারের এমন মানবিক কাজে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা।

নার্সিং সুপারভাইজার রেহেনা বেগম জানান, রোগীটির অবস্থা ছিল একেবারেই আশঙ্কাজনক। এমন রোগী আগে কখনোই দেখিনি। তবে ডা: ফাহিমা শারমিন হানি ডাক্তারের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ডা. ফাহিমা শারমিন হানি বলেন, সুমা নামে রোগীটি প্রসব পরবর্তী ফুল না পরায় বিভিন্ন হাসপাতালে না ধরায় মূমুর্ষ অবস্থায় আমার নিকট নিয়ে এসে অনুরোধ করে। প্রশিক্ষণের সময় অভিজ্ঞতা কাজে কাগিয়ে সিভিল সার্জন সারের সাথে কথা বলে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করি।

পাশাপাশি আমার স্বামী আরএমও ইসমাইল আল রাজীব সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তাৎক্ষণিক চ্যানেল অপেন করে প্লাসেন্টা আউট করি। রোগী খুব রিক্সে ছিল। ওই সময় জীবন বাঁচাতে রিক্সটা নিতেই হলো। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত ও সবার টিমওয়ার্কের
সহযোগিতায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। রোগীকে বাঁচাতে পেরে ভালো লাগছে খুবই আনন্দিত। একটি জীবন বাঁচাতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন “ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারনার কথা শুনি থাকেন। আশাকরি সেই ধারণা পরিবর্তন হবে। সব সময় ডাক্তাররা রোগীর সোবায় নিবেদিত প্রাণ।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. ইসমাইল আল রাজীব বলেন, “রোগীটির অবস্থার কারণে তাকে অন্য কোথাও নেওয়ার সুযোগ ছিল না। ডা. ফাহিমার দূরদর্শী চিন্তা ও দ্রুত পদক্ষেপের কারণেই মা ও সন্তান দু’জনই এখন নিরাপদ।”
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান নূরুদ্দিন মো জাহাঙ্গীর বলেন, এমন একটি কাজে ডা ফাহিমাসহ টিমে যারা ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ।

আরও খবর: রায়পুরায় প্রবাস বন্ধু ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park