দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসির আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের মফিজল হকের ছেলে ১ সন্তানের জনক সুজাত একই গ্রামে পাতানো খালা সম্পর্কের এক তরণীর সাথে পরকীয়া করেন।
সুজাতের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে বিয়ের দাবীতে সুজাতের বাড়িতে অনশন করেন ভুক্তভোগী খালা সেই তরুণী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সুজাত প্রায় দুই তিন বছর যাবৎ পাতানো খালার বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া আসা এবং মেলামেশা করতো। টের পেয়ে সুজাতের আগের বউ ১সন্তান রেখে চলে যায় এবং ডিভোর্স হয়।
আশেপাশের লোকজনের ভাষ্যমতে, বউ ছাড়াই দুই বছর চলে সুজাতের, নিয়মিত যাওয়া আসা খাওয়া দাওয়া সবই চলত পাতানো খালা তরুণীর বাড়িতে। অবিবাহিত খালার বিয়ে আসলেও বিয়ে ভেঙ্গে দিতো সুজাত।
সুজাতের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে পাতানো খালার বাড়িতে যায় সুজাত।তাদের মধ্যে চলে গভীর আলোচনা।
হঠাৎ দুজনের চিৎকার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে তাদের কাছে আসে। সুজাতকে আটকে রাখলে সুজাতের অভিভাবকরা এসে সুজাতকে ছিনিয়ে আনে। পড়ে তরুণী সুজাতের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করে। ভাগিনা সুজাত বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন- সুজাত আমাকে বিয়ের আশা দিয়ে প্রায় দুই বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক করে । আমার সাথে স্বামী স্ত্রীর মতো চলাফেরা করে আসছে। অন্য জায়গায় বিয়ে করলে আমার উপায় কি? আমার সাথে নিয়মিত শারিরীক সম্পর্ক করেছে আমাকেই বিয়ে করতে হবে।
সুজাত পলাতক থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ডাংধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি মাত্র জেনেছি।
সানন্দবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আরাফাতুল হক খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ কবি নজরুল মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত: ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান
Leave a Reply