
ইমান আলী: জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত “জুলাই সমাবেশ”-এ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, “গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় করতে পারলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।” তিনি বলেন, যারা গুম-খুন ও লুটপাটে জড়িত, তাদের বিচার বিলম্ব না করে দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাবও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “সংস্কার প্রক্রিয়াকে কেউ কেউ বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। কেউ সময় নিচ্ছেন সংগঠিত হওয়ার জন্য, কেউবা নতুন করে জোট বাঁধার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দেশের জনগণ আর অপেক্ষা করবে না। নির্বাচন দেওয়ার মত পরিবেশ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে।”
জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, “আমরা খসড়ার ভাষাগত কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছি, তবে মূল কাঠামোতে একমত হয়েছি। এতে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, নির্বাচিত হলে সব দল এই সনদ বাস্তবায়ন করবে।”
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, “গত ১৫ বছর আমরা দানবীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছি। ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নেমে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করে দিয়েছে। আজকে যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দাবি করেন, তাদের বুঝতে হবে—নেতৃত্ব চাপিয়ে নয়, কর্মফলেই অর্জিত হয়।”
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। আদালতের আদেশে নির্বাচন কমিশন আমাদের নিবন্ধন দিয়েছে এবং প্রতীক হিসেবে পেয়েছি আনারস। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, এখন সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির উপদেষ্টা মজিবুর রহমান সরোয়ার, নাজিম উদ্দিন আলম, এলডিপির আওরঙ্গজেব বেলাল, লেবার পার্টির জোহরা খাতুন জুইঁ, মাহবুবুর রহমান খালেদ, আবদুর রহমান খোকন, তরিকুল ইসলাম সাদি, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মিরাজ খান, নাসিমা নাজনিন সরকার, জাহিদুল ইসলাম, মাসুদ আলম পাটওয়ারী, ফিরোজ আলম, এনামুল হক, আজাদ রহমান, ছাত্রমিশনের মিলন, মামুন, সাইফুল, সাকিল হাসনাত, রিফাত, রায়হান সনি প্রমুখ।
এছাড়াও সংহতি প্রকাশ করেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মঞ্জুর-ই এলাহী, বিপিপির বিলকিস খন্দকার, গণফোরামের মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, এবং আমজনতা দলের আরিফ বিল্লাহ।
Leave a Reply